ফাইল চিত্র।
পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়ে চলায় ক্লাসরুমে জায়গা হচ্ছে না। ল্যাবরেটরিতেও জায়গার অভাব। এই পরিস্থিতিতে পঠনপাঠন চালাতেই যখন অসুবিধা হচ্ছে, তখন তৃণমূলের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সংগঠন এবং আধিকারিকদের একটি সংগঠনের জন্য আলাদা তিনটি জায়গা বরাদ্দ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর সেই জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের পাশে, যেখানে পড়ুয়াদের পরীক্ষার নম্বর তোলা হয়। এমনই অভিযোগ তুলল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)। সেই সঙ্গেই জুটা-র অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ কার্যত ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে রয়েছে এবং ক্যাম্পাসে বর্তমানে যথাযথ ভাবে জীবাণুনাশের কাজ হচ্ছে না। এই সমস্ত অভিযোগ-সহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে শুক্রবার লিখিত ভাবে জুটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকায় জায়গার খুব অভাব দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত জায়গা দেওয়ার মতো সংস্থান নেই। কিন্তু নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মনোভাবাপন্ন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও আধিকারিকদের সংগঠনের জন্য আলাদা ভাবে তিনটি জায়গা টেকনোলজি ভবনে দেওয়া হয়েছে। অথচ, সেখানে বেশ কয়েকটি ক্লাস শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।’’ তিনি জানান, সব থেকে বড় কথা, ওই ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পরীক্ষার নম্বর তোলার মতো গোপনীয় কাজ (জুমস) হয়ে থাকে।
পার্থপ্রতিমবাবুর আরও অভিযোগ, করোনাকালীন অনলাইন পরীক্ষা ব্যবস্থায় কার্যত কোনও ভূমিকাই থাকছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের। সমস্ত কাজই করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। ক্যাম্পাস খোলার পরে ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরিগুলি ঠিক মতো জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না বলেও তাঁর অভিযোগ।
উপাচার্য অবশ্য এ দিন জানান, টেকনোলজি ভবনের কোনও জায়গাই ‘স্পেস কমিটি’-তে আলোচনা না করে দেওয়া হবে না। ‘স্পেস কমিটি’ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। তার পরে জায়গা দেওয়া যাবে। পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অতিমারির সময়ে সমন্বয়ের কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ বিষয়ে পদক্ষেপ করব।’’ ক্যাম্পাস জীবাণুমুক্ত করা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘শনিবার করে ওই কাজ হয়। ল্যাবরেটরিগুলির স্যানিটাইজ়েশনের বিষয়টি আমরা দেখব।’’
এর পাশাপাশি, জুটা আচার্যের নমিনি না থাকার কারণে বিভাগগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ এবং শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে থাকছে বলেও উপাচার্যকে জানিয়েছে। কলা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টিতে স্থায়ী ডিন না থাকার বিষয়টিও জানানো হয়েছে।