প্রতীকী ছবি। —ফাইল চিত্র
করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করা পুলিশকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে আগেই। এ বার প্রতিষেধক পাবেন পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্যেরা। লালবাজারের খবর, আগামী সোমবার থেকে কলকাতা পুলিশের কর্মীদের পরিবারের ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের কোমর্বিডিটি আছে, তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। ওই দিন সকাল ন’টা থেকে কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে এর জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে প্রতিষেধক পেতে পুলিশের পরিবারের সদস্যদের আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে না। তাঁরা ওই হাসপাতালে সরাসরি গিয়ে প্রতিষেধক নিতে পারবেন।
লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, পুলিশকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের পুলিশের পরিচয়পত্র নিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে যিনি প্রতিষেধক নেবেন, তাঁর আধার কার্ড, প্যান কার্ড অথবা সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের মধ্যে যে কোনও একটি সঙ্গে রাখতে হবে। ৪৫ বছরের বেশি বয়সি যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ মেনে চিকিৎসকের শংসাপত্র লাগবে। সিভিক ভলান্টিয়ার, গ্রিন পুলিশ এবং হোমগার্ডদের পরিবারের সদস্যেরাও করোনার প্রতিষেধক নিতে পারবেন।
লালবাজার সূত্রের খবর, এক বছরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বাহিনীর চার হাজারেরও বেশি সদস্য। তাঁদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ২৪ জন। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পুলিশকর্মী ও অফিসারদের করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত পাওয়া খবর, প্রথম দফায় বাহিনীর ৩৭,৭৫০ জন সদস্যের মধ্যে ৩১ হাজারের বেশি সদস্য প্রতিষেধক নিয়েছেন।
লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে করোনার প্রতিষেধক মিলছে। কিন্তু, বাহিনীর পরিবারের সদস্যদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ হাসপাতালকে। এর ফলে এক দিকে যেমন পুলিশকর্মীর পরিবারের সদস্যদের দ্রুত এই প্রতিষেধক দেওয়া যাবে, তেমনই শুধুমাত্র পুলিশকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট হওয়ায় তাঁদের পরিবারের প্রবীণ ও বয়স্কেরাও নির্বিঘ্নে প্রতিষেধক নিতে পারবেন। তবে আগামী দিনে প্রতিষেধক নেওয়ার এমন কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশের একটি অংশ।