woman harassment

গাড়িতে ‘যৌন হেনস্থা’র ঘটনায় অভিযুক্তেরা অধরাই

বুধবার ভোরে মহেশতলার বাসিন্দা এক তরুণী যাদবপুর থানায় দায়ের করা তাঁর অভিযোগে জানান, তিনি তাঁর এক বান্ধবীর জন্মদিনের পার্টি শেষ করে বিক্রমগড় থেকে তাঁর সঙ্গেই একটি গাড়িতে উঠেছিলেন ঘোরার জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি

চলন্ত গাড়িতে তরুণীকে যৌন হেনস্থার ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরেও খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তদের। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালালেও অধরাই থেকেছে অভিযুক্তেরা। টালিগঞ্জের একটি জায়গায় অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে এক অভিযুক্ত। অন্য দিকে অভিযুক্তেরা যাতে বিমানে চেপে অন্য রাজ্যে পালিয়ে যেতে না পারে, তার জন্য এ দিন বিমানবন্দরে নজরদারি চালিয়েছে তদন্তকারীদের একটি দল। তবে পুলিশের তরফে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বুধবার ভোরে মহেশতলার বাসিন্দা এক তরুণী যাদবপুর থানায় দায়ের করা তাঁর অভিযোগে জানান, তিনি তাঁর এক বান্ধবীর জন্মদিনের পার্টি শেষ করে বিক্রমগড় থেকে তাঁর সঙ্গেই একটি গাড়িতে উঠেছিলেন ঘোরার জন্য। গাড়িতে ওই বান্ধবীর প্রেমিক ছাড়াও ছিল তাঁর দুই বন্ধু। তরুণীর অভিযোগ, গাড়িটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার সময়ে ওই তরুণেরা তাঁর যৌন হেনস্থা করে। পরে তিনি মিন্টো পার্কের কাছে নিজের অন্য কয়েক জন বন্ধুকে ডেকে আনলে, ওই তরুণেরা তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার তদন্তের জন্য যাদবপুর থানার ওসির নেতৃত্বে দু’টি দল তৈরি হয়েছে। বুধবার থেকে অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত রাজেশ রায়কেই প্রধান নিশানা করা হয়েছে। মাঝেমধ্যে সে নিজের মোবাইল ফোন অন করলেও বেশির ভাগ সময়ে তা বন্ধই থাকছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযুক্তদের খোঁজে দক্ষিণ শহরতলির জোকা-ঠাকুরপুকুর এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে পুলিশকে। এ ছাড়া টালিগঞ্জের একটি বাড়িতে হানা দেওয়ার কিছু আগে সেখান থেকে চলে যায় এক অভিযুক্ত।

Advertisement

পুলিশ জানাচ্ছে, কোনও জায়গাতেই বেশি ক্ষণ থাকছে না অভিযুক্তেরা। তাদের খোঁজ পেতে লেক গার্ডেন্স, বেহালা-সহ বিভিন্ন জায়গায় আত্মীয় এবং বন্ধুদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযুক্তদের এক জন কল সেন্টারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

লালবাজার জানিয়েছে, কোথাও পালিয়ে গিয়ে থাকলেও অভিযুক্তদের অর্থের প্রয়োজন। তাই ফেরার অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে গত দু`দিন তারা কোথাও থেকে টাকা তুলেছে কি না, তা বুঝতে চাইছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তদের গোয়া যাওয়ার কথা থাকায় বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় তাদের ছবি পাঠিয়ে খোঁজ শুরু করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement