প্রতীকী ছবি।
নজরে নজর।
দুর্ঘটনাপ্রবণ থানা চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বেসরকারি গাড়ির চালকদের দৃষ্টিশক্তি পরখ করতে সক্রিয় হল পুলিশ প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনা কমাতেই ওই ব্যবস্থা।
সোমবার রাজ্য পুলিশের এডিজি (ট্র্যাফিক) বিবেক সহায় জানান, পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, রেষারেষির পাশাপাশি চালকের দৃষ্টিশক্তির সমস্যাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। দৃষ্টিশক্তির যে সমস্যা রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে চালকেরা তা বুঝতেই পারেন না। তাই বাণিজ্যিক গাড়ির চালকদের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করানোর জন্য স্বাস্থ্য ভবনের কাছে শিবির আয়োজনে পুলিশের তরফে আর্জি জানানো হয়। সোমবার ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ এর তিন বছর পূর্তিতে এ ধরনের শিবিরের সূচনা হল।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত দু’শোটি থানা এলাকাকে প্রথমে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর পরে প্রতিটি থানায় ৫০ জন বাণিজ্যিক গাড়ির চালকের চোখ পরীক্ষা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘প্রতি পঞ্চাশ জনের মধ্যে অন্তত ১৫ জন চালককে চিকিৎসকেরা চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।’’ পুলিশকর্তাদের একাংশ মনে করছেন, শিবিরের প্রয়োজনীয়তা কতখানি, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। এর আগে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বিচ্ছিন্ন ভাবে চালকদের চোখ পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে পরিকল্পনা করে এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম।
স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সিংহ বলেন, ‘‘শিবিরের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে পুলিশের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এত বড় আকারে এমন শিবির আগে হয়নি।’’ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পথবন্ধু’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। সেই প্রকল্পে দুই ও ছ’নম্বর জাতীয় সড়কের ২০০টি জায়গাকে দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে বাছা হয়েছে। সেই সব এলাকায় পাঁচ জন করে স্বেচ্ছাসেবককে ‘পথবন্ধু’ হিসেবে স্থানীয় থানার আইসি-রা বেছেছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য ভবন প্রশিক্ষণ দেবে।