ফাইল চিত্র।
সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে যতটা সম্ভব নরম ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে বুঝিয়ে বলতে হবে, নিয়ম মেনে চলাটা এই পরিস্থিতিতে কেন জরুরি। বৃহস্পতিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনলাইন বৈঠক করেন পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানেই পুলিশকে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রশাসনিক কড়াকড়ির কারণে বাজারহাট খোলা থাকার কথা সকাল দশটা পর্যন্ত। আবার মিষ্টির দোকান খোলা থাকতে পারবে বিকেল পর্যন্ত। কিছু জায়গায় সকাল দশটার পরেও কেউ কেউ দোকান খোলা রাখায় পুলিশকে গিয়ে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে দোকান। কিন্তু সেই ব্যবস্থা গ্রহণের সময়েও পুলিশ যাতে কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করে, এ দিনের বৈঠকে সেটাই বলেছেন কমিশনার ও পুলিশের কর্তারা।
এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘বাহিনীকে বলা হয়েছে, গোটা বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখতে। মানুষ এখন বিপদে পড়েছে। তাই সকলকেই বুঝিয়ে বলতে হবে, পরিস্থিতি ঠিক কতটা খারাপ। মানুষের সঙ্গে আন্তরিক ভাবে কথা বলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ তবে পুলিশের বারও সত্ত্বেও কেউ বিধি অমান্য করলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। লালবাজার সূত্রের খবর, বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া কেউ গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোলেই পুলিশ তাঁকে আটকাচ্ছে।
নাগরিকদের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন অলিগলিতে রোজই দোকান খোলা থাকছে নির্ধারিত সময়ের পরেও। বিশেষ করে বহু জায়গাতেই পাড়ার ছোট মুদিখানার দোকান বা চায়ের দোকান খোলা থাকছে। সেখানে লোকজনের জমায়েতও হচ্ছে। সেই সঙ্গেই অভিযোগ, কড়াকড়ি অগ্রাহ্য করে রাস্তায় প্রচুর গাড়িও বেরিয়ে পড়ছে কোনও কারণ ছাড়া। রাস্তায় পুলিশ থাকলেও পরোয়া করছেন না অনেকে। এর পাশাপাশি প্রচুর মোটরবাইকও দেখা যাচ্ছে রাস্তায়। বড় রাস্তায় পুলিশ দেখলেই বাইকচালকেরা ঢুকে পড়ছেন অলিগলিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিদিন সকালের মতো বিকেলেও পাঁচটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসারদের রাস্তায় নামতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কড়াকড়ি অমান্য করে রাস্তায় বেরোনো গাড়ি বা বাইকের চালকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।