রোহিতের মৃত্যুর মূলে গাফিলতি কি না, প্রশ্ন পুলিশেরও

৯ জুলাই মাঝরাতে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা কিউ৪০০ বিমানের পিছনের ডান দিকের চাকা-ঘরের কাছে কাজ করছিলেন রোহিত। চাকা-ঘরের দরজার দু’টি পাল্লা খোলা ছিল।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ০৪:০২
Share:

রোহিত বীরেন্দ্র পাণ্ডে। —ফাইল ছবি

কেটে গিয়েছে এক মাস ১০ দিন। কলকাতা বিমানবন্দরে স্পাইসজেটের জুনিয়র টেকনিশিয়ান রোহিত বীরেন্দ্র পাণ্ডের মৃত্যুতে কারও গাফিলতি ছিল কি না, তা জানতে চেয়ে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)-কে চিঠি দিল রাজ্য পুলিশ। গত শুক্রবার ডিজিসিএ-র কলকাতার কর্তাদের কাছে সেই চিঠি পৌঁছনোর পরে তা দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর।

Advertisement

৯ জুলাই মাঝরাতে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা কিউ৪০০ বিমানের পিছনের ডান দিকের চাকা-ঘরের কাছে কাজ করছিলেন রোহিত। চাকা-ঘরের দরজার দু’টি পাল্লা খোলা ছিল। আচমকাই সেগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই পাল্লার মাঝখানে পড়ে ২২ বছরের রোহিতের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।

প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশই সে-রাতে ওই বিমানের কাছে কর্মরত অন্য ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে কথা বলে। পরে তদন্তভার নেয় ডিজিসিএ। জুলাইয়ের শেষে কলকাতা থেকে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট ডিজিসিএ-র সদর দফতরে পাঠানো হয়। পুলিশের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্ত তারাও করেছে। কিন্তু বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগের খুঁটিনাটি তাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। সেটা ডিজিসিএ-র বিশেষজ্ঞেরাই ভাল বলতে পারবেন।

Advertisement

পুলিশের বক্তব্য, ডিজিসিএ-র সেই প্রাথমিক তদন্তে যদি জানা যায়, রোহিতের মৃত্যুর পিছনে কারও গাফিলতি ছিল, তা হলে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে তারা নতুন করে মামলা শুরু করতে পারবে।

রোহিতের পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য এমন কোনও অভিযোগ পুলিশের কাছে করা হয়নি। তবে পুলিশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মামলা শুরু করতেই পারে।

ডিজিসিএ-র প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন বিমানের ককপিটে ছিলেন স্পাইসজেটের ইঞ্জিনিয়ার অভিনব ঝা। রোহিত তাঁকে ‘অল ক্লিয়ার’ বলে চলে যাওয়ার পরেও পিছনের ডান দিকের চাকা-ঘরের কাছে কাজ করছিলেন। অভিনব সেটা জানতেন না। রোহিতের কাছ থেকে সবুজসঙ্কেত পেয়ে অভিনব সুইচ অন করে দেন। রোহিতের মৃত্যুর পরে উড়ান সংস্থা তাঁকে

সাসপেন্ড করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement