Crime

যোধপুর পার্কে বৃদ্ধা খুনে জামিন, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাচ্ছে পুলিশ

ফ্ল্যাট হাতানোর লোভে মালি এবং নিরাপত্তা রক্ষীকে কাজে লাগিয়ে দেবাশিস বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষকে খুন করেন বলে পুলিশ দাবি করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৯ ১৯:৩৭
Share:

আবাসনের এই ফ্ল্যাটেই থাকতেন ওই বৃদ্ধা। —ফাইল চিত্র

অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর, যোধপুর পার্কে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। কিন্তু, হেফাজতে রেখে বিচার পর্ব শুরু হওয়ার আগেই আলিপুর আদালত থেকে জামিন পেয়ে গেলেন অভিযুক্ত। জামিনের বিরোধিতা করে এ বার হাইকোর্টে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় যোধপুর পার্কে ওই বহুতলের বাসিন্দা। ফ্ল্যাট হাতানোর লোভে মালি এবং নিরাপত্তা রক্ষীকে কাজে লাগিয়ে দেবাশিস বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষকে খুন করেন বলে পুলিশ দাবি করে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় দেবাশিস ছাড়াও মালি স্বপন মণ্ডলও জামিন পেয়ে গিয়েছেন। ওই দুই অভিযুক্তের জামিন পাওয়া নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। পদস্থ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নিম্ন আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমরা হাইকোর্টে যাচ্ছি।’’

গত ৫ এপ্রিল হঠাৎ করেই ১৪১, যোধপুর পার্কের চার তলা ফ্ল্যাটের তিন তলা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। ওই ফ্ল্যাটেই একা থাকতেন শ্যামলীদেবী। অনেক ডাকাডাকির পর, দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে বৃদ্ধার বোন ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খোলেন। লেক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে, মেঝেতে পড়ে রয়েছেন শ্যামলীদেবী। মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন৷ তদন্তে নামে পুলিশ। ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি ডায়েরি। শামলীদেবীর বোন জানান, রোজ ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল তাঁর দিদির। ওই ডায়েরিতে বৃদ্ধা প্রাণহানির আশঙ্কার কথা লিখেছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাইতেই কাটারি তুলে মহিলাকে খুনের হুমকি, অভিযুক্ত প্রযোজক

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুলিশভ্যানে হামলার ছকেই কলকাতায় কওসরকে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে ইজাজ​

সেই সূত্র ধরেই পুলিশ গ্রেফতার করে আবাসনের মালি স্বপন মণ্ডল এবং নিরাপত্তারক্ষী সঞ্জীব দাসকে। প্রথমটায় না জানালেও পরে ওই দু’জন তদন্তকারীদের জানান, ঘটনায় আরও এক জনের যোগ রয়েছে। সেই ব্যক্তিই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। পুলিশ ফের ডায়েরি পড়ে দেখে। সেখানে বেশ কয়েক জনের নাম লিখে গিয়েছিলেন শ্যামলীদেবী। ধৃতদের বয়ান আর পারিপার্শ্বিকতা খতিয়ে দেখার পরেই গত ২৬ জুন গ্রেফতার করা হয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দু’মাসের মাথাতেই জামিন পেয়ে গেলেন সেই মূল অভিযুক্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement