প্রতীকী ছবি।
মাত্র ১০০ টাকা দিতে না চাওয়াতেই কি খুন হতে হয়েছে ভ্যানচালককে? জোড়াসাঁকো থানা এলাকায় খুনের ঘটনার পুলিশি তদন্তে বড় হয়ে উঠছে এই প্রশ্নটাই। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম হারু কর্মকার, মহম্মদ সমীর এবং ফিরোজ খান। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কি না জানতে ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।
শনিবার রাতে জোড়াসাঁকো থানা এলাকার জ়াকারিয়া স্ট্রিট ও বলাই দত্ত লেনের সংযোগস্থল থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। পরে জানা যায়, তাঁর নাম রঞ্জিত। পেশায় তিনি ভ্যানচালক। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাতে কোনও একটি বিষয় নিয়ে রঞ্জিত ও আরও এক ভ্যানচালকের মধ্যে ঝামেলা হয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যায়। পরে গভীর রাতে উদ্ধার হয় রঞ্জিতের দেহ। তাঁর মাথায় ভারী জিনিসের আঘাত এবং গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল। এর পরেই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্তে নামে জোড়াসাঁকো থানা।
ওই ফুটেজে বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজনের ছবি পান তদন্তকারীরা। রবিবার তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ধৃত তিন জনই রঞ্জিতের পূর্ব-পরিচিত। শনিবার রাতে নেশা করার জন্য তারা রঞ্জিতের কাছে ১০০ টাকা চেয়েছিল। তিনি দিতে রাজি না হওয়ায় উভয় পক্ষে বচসা বাধে। তখনই অভিযুক্তেরা রঞ্জিতের গেঞ্জি তাঁর গলায় জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তাঁর মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। এর পরেই চম্পট দেয় তিন জন। রবিবার রঞ্জিতের দেহের ময়না-তদন্ত হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলেই ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে।
কিন্তু মাত্র ১০০ টাকার জন্য এই খুন, না কি এর পিছনে রয়েছে কোনও পুরনো বিবাদ? আপাতত সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। পাশাপাশি, ধৃতেরা কী ধরনের নেশা করত তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে কারণে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা। তার পরেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে তাঁদের অনুমান।