আকাশে ড্রোন, কাশীপুরে কড়া নজরদারি পুলিশের

সারা শহরে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম, বিজেপি বা কংগ্রেসের লড়াই হল। ব্যতিক্রম কাশীপুর। যেখানে লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের। আর একমাত্র কাশীপুরের আকাশেই নজরদারি ক্যামেরা নিয়ে চক্কর দিল কলকাতা পুলিশের উড়ুক্কু যান (ড্রোন)। পুরনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সীতা জয়সোয়ারার হয়ে স্বপন চক্রবর্তী, অন্য দিকে নির্দল প্রার্থী জয়নাল আবেদিনের হয়ে বকলমে মাঠে নামলেন আর এক তৃণমূল নেতা আনোয়ার খান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৭
Share:

শনিবার কাশীপুরে পুলিশের ড্রোন। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

সারা শহরে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম, বিজেপি বা কংগ্রেসের লড়াই হল। ব্যতিক্রম কাশীপুর। যেখানে লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের। আর একমাত্র কাশীপুরের আকাশেই নজরদারি ক্যামেরা নিয়ে চক্কর দিল কলকাতা পুলিশের উড়ুক্কু যান (ড্রোন)।

Advertisement

পুরনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সীতা জয়সোয়ারার হয়ে স্বপন চক্রবর্তী, অন্য দিকে নির্দল প্রার্থী জয়নাল আবেদিনের হয়ে বকলমে মাঠে নামলেন আর এক তৃণমূল নেতা আনোয়ার খান।

ভোটের আগেই দু’পক্ষের গোলমালে রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কাশীপুর। বোমাবাজি, গুলি, মারধরের ঘটনাও ঘটেছিল। ঘটনায় কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তৃণমূল নেতা স্বপন চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরে ভোটের আগের দিন স্বপনবাবুকে গ্রেফতারির সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছিল বলে প্রশাসনিক মহলের খবর।

Advertisement

শনিবার অবশ্য প্রকাশ্যে দেখা যায়নি যুযুধান দুই নেতাকেই। কিন্তু গোটা কাশীপুরের ভোটযুদ্ধের রিমোট কন্ট্রোল ছিল ওই দুই নেতার হাতেই।

শনিবার দিনভর স্বপনবাবুর মোবাইল সুইচড অফ ছিল। বিভিন্ন বুথ থেকে শুরু করে এলাকার অধিকাংশ প্রবেশ পথে দুই নেতার অনুগামীদের নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে সিপিএম, কংগ্রেসকে কার্যত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবু বিজেপি প্রার্থীর গতিবিধি অল্পবিস্তর নজরে এসেছে।

অন্য দিকে, আনোয়ার ছিলেন তাঁর এলাকায়। তাঁর অনুগামীরাও নিজেদের এলাকায় ছিলেন সক্রিয়। মিডিয়ার কাছে তাঁরা ক্রমাগত স্বপন ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন। পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন স্বপনবাবুর অনুগামীরাও।

কাশীপুরে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৬টি বুথ মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৮ হাজার। সকাল থেকেই দু’পক্ষের চাপান-উতোরে বুথ-সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ড্রোন উড়তেই তাকে দেখার জন্য আতঙ্ক সরিয়ে রেখে রাস্তায় নেমে পড়েন অসংখ্য মানুষ। আকাশ থেকে ছবি তুেল কন্ট্রোলে পাঠানো শুরু করে ড্রোনের ক্যামেরা।

দুপুর ১টা নাগাদ রতনবাবু রোডে একটি স্কুলের উল্টো দিকে একটি বাড়ির টালির চালে বোমা ফাটার মতো শব্দ হয়। তবে পুলিশ কর্তারা বোমার শব্দ বলে মানতে চাননি। তাঁদের অনুমান, চকলেট বোমা জাতীয় কিছু ফেটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, কোনও মতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এক মহিলা ও দুই শিশু। পুলিশ কর্তাদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। এ ছাড়া, সংঘর্ষের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

দিনভর দুই পক্ষের উত্তেজনাই কড়া হাতেই নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। সংঘর্ষ দূর অস্ত্, কোথাও লোক জড়ো হলেই দ্রুত সরিয়ে দিয়েছে তারা।

পুলিশের এই পদক্ষেপে বুথের বাইরে সে অর্থে গোলমাল হয়নি। তবে এলাকার প্রবেশ পথে বা বুথের মধ্যে পুলিশ নীরব ছিল বলে অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। তাদের দাবি, একের পর এক বুথ দখল করেছে শাসক দল।

পুলিশ কর্তারা অবশ্য পাল্টা জানিয়েছেন, বুথের ভিতরের দায়িত্ব নিবার্চন কমিশনের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement