প্রতীকী ছবি।
পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে নাচগানের আসর আয়োজনের নেপথ্যে কে বা কারা? ডিজে-র আয়োজনই বা করেছিল কে? এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আজ, বুধবার দুপুরে ওই হোটেলের কিছু কর্মীকে ডেকে পাঠিয়েছে লালবাজার। শনিবার রাতে ওই হোটেলে পুলিশি অভিযানের সময়ে সেখানে উপস্থিত কিছু কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
সোমবার সন্ধ্যায় ফের ওই হোটেলে গিয়ে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, হোটেলের বার ম্যানেজার, ফ্লোর ম্যানেজার এবং কর্মী-সহ কয়েক জনকে লালবাজারে ডেকে পাঠান তাঁরা। হোটেলের খাদ্য ও পানীয়ের দায়িত্বে থাকা এক ম্যানেজার ও ডিজে-র দায়িত্বে থাকা এক কর্মীকেও তলব করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সেই রাতে আসরে ব্যবহৃত ডিজে-র আয়োজন করেছিলেন হোটেল কর্তৃপক্ষই। তবু নিশ্চিত হতেই হোটেলকর্মীদের প্রশ্ন করতে চান তাঁরা।
হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে আসরে যোগ দেওয়া আরও কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে থাকা ন’জন ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাকি আগন্তুকদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘হোটেলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পার্টি সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। এই পার্টির আয়োজনে আদৌ কর্তৃপক্ষের কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পাঁচতারা হোটেলের ওই আসরে মদ-গাঁজার পাশাপাশি মাদক সেবনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। তাঁদের অনুমান, এই ধরনের আসরে নির্দিষ্ট কোনও মাদক ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে সেই মাদক কী, তা জানতে ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন গোয়েন্দারা। আবগারি দফতরের তরফে ওই আসর সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য কলকাতা পুলিশের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আসরে মদ কোথা থেকে আনা হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে আবগারি দফতর সূত্রের খবর। হোটেল থেকে উদ্ধার করা পানীয়ের নমুনাও পরীক্ষা করা হবে।
খাস কলকাতায় মাসখানেক ধরে সপ্তাহান্তে নাচগানের আসর বসলেও পুলিশ কেন টের পেল না, সেই প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে লালবাজারের পুলিশ কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।