মোবাইলের সূত্র ধরেই খুনের কিনারা

পুলিশ জানিয়েছে, বছর তেত্রিশের সোনুর বাড়ি বিহারের পটনায়। খুনের অভিযোগে তার পরিচিত বিহারের চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

একটি মোবাইলের সূত্র ধরে ৪৮ ঘণ্টায় হাওড়ার জগাছার যুবক খুনের কিনারা করল গোয়েন্দা বিভাগ। জানা গেল মৃত যুবকের পরিচয়ও। তার নাম মহম্মদ সোনু। খুন করার অভিযোগে হাওড়া থেকেই গ্রেফতার করা হল চার জনকে। ধৃতদের নাম মহম্মদ সইফুদ্দিন ওরফে ছোটে মিয়াঁ, মহম্মদ সাজাদ ওরফে সাকা, মহম্মদ সলমন এবং মহম্মদ রিঙ্কু। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা হলে ১১ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বছর তেত্রিশের সোনুর বাড়ি বিহারের পটনায়। খুনের অভিযোগে তার পরিচিত বিহারের চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতী দলের অভ্যন্তরীণ বিবাদের জেরে পরিকল্পিত ভাবে এই খুন। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে জগাছার মৌড়ি শ্মশানধার থেকে পুলিশ উদ্ধার করে সোনুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। তদন্তে জানা যায়, মৃত ব্যক্তি ও ধৃত চার দুষ্কৃতী একই মাফিয়া দলের সদস্য।

তদন্তে জানা গিয়েছে, গত রবিবার পটনা থেকে সোনুকে হাওড়ায় ডেকে পাঠায় তার বন্ধুরা। আসার আগে ওই যুবক স্ত্রীকে হাওড়ার এক বন্ধুর নম্বর দিয়ে বলেছিল, তাকে ফোন করে না পেলে ওই নম্বরে করতে। সেই মতো সোনুর স্ত্রী ওই নম্বরে ফোন করেন। দু’-তিন বার করার পরে ফোন ধরলেও অন্য প্রান্ত থেকে কেউ কথা বলেনি বলে দাবি তাঁর। তবে কয়েক জনের কথা শোনা যাচ্ছিল। যা শুনে ওই যুবকের স্ত্রী বিপদের সন্দেহ করে হাওড়ার পরিচিত এক ব্যক্তিকে সেই কল রেকর্ডিং পাঠিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। ওই মোবাইল নম্বর ও কল রেকর্ডিং থেকেই ফোনের অবস্থানের হদিস পায় পুলিশ। প্রথমে সাকাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরে অন্যদের ধরা হয়।

Advertisement

বুধবার হাওড়ার ডিসি (দক্ষিণ) জোবি থমাস কে জানান, ধৃতেরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা হলেও হাওড়ায় ছোটখাট কাজ করত। পাশাপাশি, অপরাধমূলক কাজেও জড়িত ছিল। এদের মধ্যে তিন জন সাঁকরাইল থানা এলাকার চুনাভাটিতে থাকে। অন্য জন সাঁতরাগাছিতে থাকে। ডিসি বলেন, ‘‘জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেছে, প্রথমে শ্বাসরোধ করে সোনুকে খুন করে তারা। পরে পাথর দিয়ে মুখ এমন ভাবে থেঁতলে দেওয়া হয় যাতে কেউ চিনতে না পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement