প্রতীকী ছবি
সকালে পরিচারিকা এসে কলিং বেল বাজিয়ে সাড়া পাননি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করল গৃহকর্তার দেহ। তিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। নাম জয় বসু (৪৯)। সোমবার রাতে সল্টলেকের সিডি ব্লকের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই চিকিৎসক একতলা বাড়িটিতে একাই থাকতেন। তাঁর এক দিদি বিদেশে থাকেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই চিকিৎসক কিছু মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ দিন সকালে বাড়িতে কাজ করতে এসে পরিচারিকা তাঁর সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে যান। এর পরে দিনভর জয়বাবুকে দেখতে না পেয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায়কে খবর দেন। এর পরে পুলিশ আসে। ওই চিকিৎসকের এক আত্মীয়ও চলে আসেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, দেহের উপরের অংশ বিছানা থেকে নীচের দিকে ঝোলানো অবস্থায় ছিল। সারা ঘরে বই, সিগারেট-বিড়ির প্যাকেট ও পোড়া সিগারেট-বিড়ির টুকরো ছড়ানো ছিল। স্থানীয় কাউন্সিলর জানান, ওই চিকিৎসক মনোরোগী ছিলেন। এক পরিচারিকা সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত তাঁর কাছে থাকতেন।
সল্টলেকের অধিকাংশ ব্লক ও আবাসনেই প্রবীণ নাগরিকদের বসবাস। অনেকেরই সন্তান ও আত্মীয়েরা বিদেশে কিংবা ভিন্ রাজ্যে থাকেন। মূলত পরিচারক বা পরিচারিকাদের ভরসাতেই দিন কাটে ওই প্রবীণদের। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুলিশ একটি প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু তাতেও যে প্রবীণদের দুরবস্থা ঘোচেনি, ফের তার প্রমাণ মিলল সল্টলেকে।