প্রতীকী ছবি
বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক এ বার করোনায় আক্রান্ত হলেন। সূত্রের খবর, এর আগেও বিধাননগরের বিভিন্ন থানার একাধিক পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বিধাননগর পুর এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৫০ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। যাঁরা সামনে থেকে লড়াই করছেন, সেই পুলিশকর্মীরাও একের পর এক আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বাহিনীতে। তবে বিধাননগরে এই প্রথম ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক করোনায় সংক্রমিত হলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর স্ত্রীও সংক্রমিত হয়েছেন। ওই দম্পতি আপাতত বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। ওই পুলিশ আধিকারিকের নিরাপত্তারক্ষীও সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন থানা মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২। থানা এবং ব্যারাক জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে।
যান চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সামনে থেকে কাজ করতে হয় পুলিশকে। যে কারণে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ়ারের ব্যবহার এবং থানা ও ব্যবহৃত গাড়ি-সহ বিভিন্ন জিনিস জীবাণুমুক্ত রাখার বিষয়ে সতর্কতাও নেওয়া হয় বলে দাবি বিধাননগর পুলিশের। তবুও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যে কারণে একাধিক কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। তবে করোনা সংক্রমণের প্রভাব বেশি বিধাননগর উত্তর ও সাইবার থানায়।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, জুনের শেষ থেকে করোনার প্রকোপ অনেকটাই বেড়েছে। দিনে গড়ে ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এ জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি পুরসভার।
অতিমারি যে ক্রমেই তার শিকড় ছড়াচ্ছে, তা মেনে নিয়েছে পুর প্রশাসনও। তাদের একাংশের অভিযোগ, মাস্ক পরা এবং দূরত্ব-বিধি মানার ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের একটা অংশের মধ্যে শিথিলতা চোখে পড়ছে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানিয়েছেন, নিয়মিত থানাগুলি জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। পুলিশকর্মীরা তাঁদের প্রতিদিনের দায়িত্বের পাশাপাশি করোনার মোকাবিলা করছেন। তার মধ্যেও আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে পুর প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় যাতে বাসিন্দারা সব রকমের সুরক্ষা-বিধি মেনে চলেন, তার জন্য এ দিন ফের তাঁদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ।