অকুস্থল: এই জায়গাতেই বধূকে অপহরণের চেষ্টার পরে অ্যাম্বুল্যান্স পিষে দেয় তাঁর শ্বশুরকে। —ফাইল চিত্র।
ট্যাংরার অ্যাম্বুল্যান্স-কাণ্ডে রহস্যের জট খুলতে সোমবার প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালালেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তবে এর পরেও মঙ্গলবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্তকারীদের কাছে পরিষ্কার নয় বলে লালবাজার সূত্রের খবর। লালবাজারের এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে।’’
রবিবার রাতে ট্যাংরায় অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত বৃদ্ধের বাড়িতে যান লালবাজারের হোমিসাইড শাখা ও ট্যাংরা থানার তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পরে মৃতের পুত্রবধূ তথা অভিযোগকারিণীকে এ দিন লালবাজারে দেখা করতে বলা হয়। বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে তাঁকেই জোর করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। সেই সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয় ঘটনার সময়ে তাঁর সঙ্গে থাকা শাশুড়ি, মামিশাশুড়ি-সহ কয়েক জন আত্মীয়কে। সেই মতো এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ তাঁরা লালবাজারে যান।
পুলিশ সূত্রের খবর, সেখানে চার জনকে আলাদা আলাদা ঘরে বসিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে কথা বলা হয়। শেষে ডাকা হয় অভিযোগকারিণীকে। ঘটনার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, কী ভাবে এবং কত ক্ষণের মধ্যে ঘটেছিল, সে সব কথা খুঁটিয়ে জানার পরে সময় ধরে ধরে তা মিলিয়ে দেখা হবে বলে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা সূত্রের খবর। ওই মহিলা এ দিন বলেন, ‘‘যা সত্যি, তা-ই পুলিশকে বললাম। একই কথা আগেও বহু বার বলেছি। পুলিশ অন্তত এর পরে গোপন জবানবন্দির ব্যবস্থা করুক।’’