প্রতীকী চিত্র
বালিগঞ্জের এক আবাসনে পরিচারকের মৃত্যু-রহস্যের কিনারা হল না ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, উঁচু জায়গা থেকে পড়েই সুবোধকুমার যাদব নামে বছর তেইশের ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি সেখান থেকে নিজে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, না কি তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। উল্টে যে ফ্ল্যাটে সুবোধকুমার কাজ করতেন, সেখানকার মালকিনের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
গত মঙ্গলবার বালিগঞ্জের দেওদার স্ট্রিটে একটি বহুতলের আটতলা থেকে পড়ে যাওয়ায় সুবোধকুমার যাদব নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে প্রথমে জানা যায়। যদিও মৃতের দাদা দাবি করেন, তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে। বালিগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তারই ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, দীপক বাচাওয়াত নামে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাটে কাজ করতেন সুবোধকুমার। দীপকের স্ত্রী প্রথমে পুলিশকে জানান, সুবোধকুমার মত্ত অবস্থায় ছিলেন। রান্নাঘরে গিয়ে ব্যাপারটা তিনি ধরে ফেলতেই দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন ওই যুবক। ওই সময়ে দীপক স্ত্রীকে ফোন করতেই ভয়ে আটতলা থেকে ঝাঁপ দেন সুবোধকুমার।
মহিলা এ-ও বলেন, ‘‘আমি রান্নাঘরে যেতেই মত্ত অবস্থায় ও আমাকে পিছন থেকে জাপ্টে ধরে। আমার স্বামী আমার নম্বরে ফোন করতেই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে উপর থেকে ঝাঁপ দেয়।’’ এই বক্তব্যের কোনটা এবং কতটা ঠিক, ধন্দে পুলিশ। ফোনে যোগাযোগ করা হলেও দীপক এ দিন পরিচয় শুনেই ফোন কেটে দেন।