—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের একাধিক স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় ডাকাতিতে যুক্ত বিহারের দুষ্কৃতী, জেলবন্দি সুবোধ সিংহকে এ রাজ্যে এনে বিচার করতে চায় সিআইডি। বিহারের বেউর জেলে বন্দি ওই দুষ্কৃতীকে আনতে আসানসোল আদালতের তরফে বৃহস্পতিবার হাজিরার পরোয়ানা জারি হয়েছে। ৩ জুলাই সুবোধকে আদালতে হাজির করাতে হবে। ওই নির্দেশ বিহারের পটনার বেউর জেলে পাঠানো হয়েছে।
এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ২০২২ সালে রানিগঞ্জে একটি গয়নার দোকানের মালিকের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ডাকাত দল। পুলিশ সেখানে পৌঁছে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে চলে গুলির লড়াই। ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে জানা যায়, ওই দলটি সুবোধের। এর পরেই তাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। চলতি মাসের গোড়ায় বেউর জেলে গিয়ে সুবোধকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। আবার বেলঘরিয়ার ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনাতেও সুবোধ সিংহকে জেরা করার অনুমতি পেল ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ।
সিআইডি সূত্রের খবর, ২০২০ সালে আসানসোলে একটি স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় ডাকাতি ও ২০১৯-এ ব্যারাকপুরে মণীশ শুক্লকে খুনের ঘটনায় সুবোধ জড়িত ছিল। দু’টি ঘটনাতেই আদালতের নির্দেশে সুবোধকে জেলে গিয়ে জেরা করতে চাইলেও খালি হাতে ফেরেন তদন্তকারীরা। মণীশ শুক্লকে খুনের ঘটনায় এ রাজ্যে সুবোধকে আনার আদালতের পরোয়ানা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি।
পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি মাসেই রানিগঞ্জ এবং হাওড়ার ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। দু’টিতেই নাম জড়িয়েছে সুবোধের। রানিগঞ্জে সুবোধের দলের সোনু সিংহের নেতৃত্বে ডাকাত দল হানা দিয়েছিল। ওই ঘটনায় সোনু-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য দিকে, ডোমজুড়ের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হলেও তদন্তকারীদের দাবি, এর পিছনে রয়েছে বিকাশ ঝা নামে বিহারের সমস্তিপুরের এক দুষ্কৃতীর দল। যার মাথায় আছে সুবোধ।
সিআইডি-র তদন্তকারীদের দাবি, সুবোধকে জেরা করলে তার দল সম্পর্কে আরও বিশদে ধারণা তৈরি হবে। সুবোধকে এ রাজ্যে নিয়ে এলে সোনার দোকানে বা স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থায় ডাকাতির তদন্তের কিনারা সম্ভব।