বিদিশা দে মজুমদার। ফাইল চিত্র।
অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার নেপথ্যে আর্থিক সমস্যাও একটি বড় কারণ বলে মনে করছে পুলিশ। সূত্রের দাবি, বিনোদন জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছিল বিদিশার। তুলনায় অর্থের জোগান কমছিল। ফলে, জীবনে তৈরি হয়েছিল প্রবল অনিশ্চয়তা। তবে, সব তথ্যই যাচাই করছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে বিদিশার এক পুরুষ বন্ধুকে ডেকে ঘণ্টা দেড়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। দমদম থানা থেকে বেরিয়ে ওই যুবক জানান, তিনি পুলিশের সঙ্গে যথাসাধ্য সহযোগিতা করছেন। ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর আইনজীবী এবং দুই ব্যক্তি ছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁকে ফের ডাকা হতে পারে।
বুধবার নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশ সূত্রের দাবি, সুইসাইড নোটে ওই তরুণী কাউকে দায়ী করেননি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। দেহে ধস্তাধস্তিরও কোনও চিহ্ন মেলেনি। প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। বিদিশা কেন অবসাদে ছিলেন, তা জানতে ছ’-সাত জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তার মধ্যে মৃতার কয়েক জন বন্ধু-বান্ধবীও রয়েছেন।
পুলিশ জেনেছে, ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া থেকে শুরু করে পেশাগত স্বপ্ন পূরণের জন্য খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বিদিশার। মডেলিংয়ের কিছু কাজ করেছিলেন। চেষ্টা করছিলেন অভিনয় জগতে আসার। কিন্তু সুযোগ পাচ্ছিলেন না।
যদিও বিদিশার বান্ধবীরা দাবি করেছিলেন, সম্পর্কের টানাপড়েনেই অবসাদগ্রস্ত ছিলেন ওই তরুণী। সেই সূত্রেই তাঁর পুরুষ বন্ধুর কথা জানান তাঁরা। যদিও ওই যুবক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তিনি বিদিশার শুধুই বন্ধু ছিলেন। প্রেমের প্রস্তাব এলেও তিনি রাজি ছিলেন না। ওই যুবক আরও জানান, বিদিশা পেশা নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।