Kolkata Police

হলদিয়ার তরুণীকে বাড়ি ফেরাল পুলিশ

কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাস্তার এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন বছর আঠারোর এক তরুণী। কিছু ক্ষণ পরে দেখা গেল, কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করছেন তিনি। একটু দূর থেকে ওই তরুণীকে লক্ষ করছিলেন টহলরত এক পুলিশকর্মী। তরুণীর আচরণ অস্বাভাবিক ঠেকেছিল তাঁর কাছে। ওই পুলিশকর্মী এগিয়ে যেতেই তরুণীও এগিয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, ফোনে রয়েছেন তাঁর বাবা। পুলিশকর্মীকে ওই তরুণী জানান, তাঁর বাবা কথা বলতে চান। ওই ব্যক্তি ফোনে জানান, তাঁর মেয়ে রাগ করে হলদিয়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁকে যেন কোনও নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ রবীন্দ্র সদনের কাছ থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এক্সাইড মোড়ে সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসে নিয়ে আসেন ট্র্যাফিক কনস্টেবল কওসর আলি শেখ। সেখানে উপস্থিত ওই গার্ডের অতিরিক্ত ওসি নাজমুল হাসান তরুণীর বাবার সঙ্গে কথা বলে তাঁকে আশ্বস্ত করে জানান, তাঁর মেয়ে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। গভীর রাতে গাড়ি নিয়ে হেস্টিংস থানায় এসে তরুণীকে বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর বাড়ি হলদিয়ায়। তিনি এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। কিন্তু ফল ভাল না-হওয়ায় তাঁর বাবা তাঁকে বকাবকি করেন। এর পরেই রবিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তরুণী। বাসে উঠে চলে আসেন কলকাতায়। কিন্তু রাতে অচেনা এবং ফাঁকা শহরে পৌঁছে ঘাবড়ে যান। কোথায় যাবেন, কী করবেন বুঝতে না পেরে তরুণী চলে আসেন রবীন্দ্র সদনের সামনে। সেখান থেকেই বাড়িতে কথা বলেন। এরই মধ্যে ওই পুলিশ কনস্টেবলের নজরে আসেন তিনি।

Advertisement

কওসর সোমবার জানান, রবীন্দ্র সদন এলাকায় যেখানে তরুণী দাঁড়িয়েছিলেন, সেই এলাকাটি রাত আটটার পরেই ফাঁকা হয়ে যায়। ওই কনস্টেবল বলেন, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম, গাড়ি ধরার জন্য মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ পরেও ওঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। বুঝতে পারি, উনি কোনও বিপদে পড়েছেন। এগিয়ে গিয়ে কথা বলে পুরো ঘটনা জানতে পারি।’’ পুলিশ জানায়, ওই তরুণীকে ট্র্যাফিক গার্ডে নিয়ে গিয়ে রাতের খাবার দেওয়া হয়। সে সময়ে ট্র্যাফিক গার্ডে কোনও মহিলা পুলিশকর্মী না-থাকায় তরুণীকে তুলে দেওয়া হয় হেস্টিংস থানার হাতে। সেখান থেকেই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান পরিজনেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement