Safe Drive Save Life

মত্ত চালকদের ঠেকাতে পুলিশের ‘বন্ধু’ পানশালা, রেস্তরাঁগুলিও

সাধারণত রেস্তরাঁ, পানশালা রয়েছে এমন এলাকা থেকে কিছুটা দূরেই নাকা-তল্লাশি করে থাকেন পুলিশকর্মীরা। পর পর গাড়ি থামিয়ে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার’ যন্ত্রে চালকদের শ্বাস পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৫৫
Share:

গাড়ি থামিয়ে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার’ যন্ত্রে চালকদের শ্বাস পরীক্ষা করা হয়। কেউ দেড় পেগের বেশি মদ খেলেই এই যন্ত্র তার ‘আপত্তি’ প্রকাশ করে। প্রতীকী ছবি।

গত সপ্তাহে পানশালায় মদ্যপান কিছুটা বেশিই হয়ে গিয়েছিল মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির।বেরোনোর সময়ে পানশালার ম্যানেজার তাঁকে দৃঢ় ভাবে জানান, লালবাজারের নিষেধ, ওই অবস্থায় কিছুতেই স্টিয়ারিংয়ে বসা চলবে না। অতএব কিছু ক্ষণ পরে টলতে টলতে অ্যাপ-ক্যাবে উঠলেন ওই ব্যক্তি। আর তাঁর গাড়ি সেই রাতের মতো পড়ে থাকল পার্ক স্ট্রিটলাগোয়া রাস্তাতেই। উৎসবের মরসুমে মত্ত চালকদের রুখতে এ ভাবেই শহরেরপানশালা, রেস্তরাঁগুলিকে পাশে থাকতে বলছে রাজ্য। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা রুখতে এ বার তাদের সাহায্য চাইছে পুলিশও। লালবাজার সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন পানশালা,রেস্তরাঁ ও ক্লাবকে বলা হয়েছে, মদ্যপান করার পরে যাতে কোনও অতিথি গাড়ি চালিয়ে না ফেরেন, সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে। এমনকি প্রয়োজনে সেই পানশালা বা রেস্তরাঁগুলিকেই বেসামাল অতিথিদের বাড়ি ফেরার জন্য গাড়ির চালক জোগাড় করে দিতে বা অ্যাপ-ক্যাব ডেকে দিতেও বলছে পুলিশ।

Advertisement

বছর শেষের এই সময়ে তো বটেই, রাতের শহরে মত্তগাড়িচালকদের সামলানো পুলিশের কাছে বিশেষ মাথাব্যথার বিষয়। শহরের কয়েকটি এলাকায় মত্ত গাড়িচালকদের তাণ্ডব প্রায়ই লেগে থাকে। গত বছর কোভিডেরকারণে এই বিষয় নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতে হয়নি পুলিশকে। ওমিক্রনের আতঙ্ক উড়িয়ে গত বছরেও পার্ক স্ট্রিট চত্বরে ভিড় হয়েছিল। কিন্তু বেপরোয়া, মত্ত চালকদের দৌরাত্ম্য সেবার কিছুটা কম ছিল বলে দাবি লালবাজারের কর্তাদের। তবে এ বছরের ছবিটা আলাদা। তাই বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোরপ্রবণতা নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকছে লালবাজার।

সাধারণত রেস্তরাঁ, পানশালা রয়েছে এমন এলাকা থেকে কিছুটা দূরেই নাকা-তল্লাশি করে থাকেন পুলিশকর্মীরা। পর পর গাড়ি থামিয়ে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজ়ার’ যন্ত্রে চালকদের শ্বাস পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত কেউ দেড় পেগের বেশি মদ খেলেই এই যন্ত্র তার ‘আপত্তি’ প্রকাশ করে।

Advertisement

তবে শহরের হোটেল, রেস্তরাঁ সমিতির কর্তা সুদেশ পোদ্দার বলছেন, ‘‘অতিথিরা কে, কোথা থেকে, গাড়িতে কী ভাবে ফিরছেন, তার সবটা রেস্তরাঁগুলির পক্ষে দেখা অসম্ভব। এমনিতেই পাঁচ পেগের বেশি কেউ মদ খেতে চাইলে অনেকেই তাঁকে বুঝিয়ে নিরস্ত করেন। তবে অতিথিদের বাড়ি ফেরানোর দায়িত্বের পুরোটা পানশালা, রেস্তরাঁর ঘাড়ে ফেললে সমস্যা।’’ এক পুলিশকর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা চাপ দিচ্ছি না। দুর্ঘটনা রুখতে শুধু রেস্তরাঁগুলির সাহায্য চাইছি, এটুকুই!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement