—প্রতীকী চিত্র।
পালিয়ে গিয়ে চার অভিযুক্তই তাদের মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছিল। তার বদলে এক আত্মীয়ের মোবাইল ব্যবহার করলেও সেটিও এক দিনের মধ্যে বন্ধ করে দেয় তারা। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই চার জনের মোবাইলের পুরনো কল লিস্ট ঘাঁটতে গিয়ে দেখতে পায়, তারাপীঠের দুই বাসিন্দার সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়েছিল তাদের। পুলিশের দাবি, তারাপীঠের ওই বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে জানা যায়, তাঁদেরই এক জন ওই চার পলাতককে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই মানিকতলায় ব্যবসায়ীকে মারধর করে খুনের ঘটনায় পুলিশ তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত ওই চার জনকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুভাষ দে ওরফে সুকুমার, সঞ্জীব নাগ, অভিজিৎ দে ও শিবা সাঁতরা। রবিবার রাতে গ্রেফতার করার পরে সোমবার চার জনকে কলকাতার আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, কালীপুজোর রাতে মানিকতলা থানা এলাকার বাগমারিতে গাড়ির গ্যারাজের ব্যবসায়ী অনিল রজককে মারধরের ঘটনা ঘটে। যদিও ঘটনার পরে প্রথমে ওই ব্যবসায়ী মারধরের বিষয়টি পরিবারকে জানাননি। পরদিন, ১৪ নভেম্বর অনিলকে ফের মারধর করা হলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যবসায়ীর। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশ জানতে পারে, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরেই এই মৃত্যু। এমনকি, দেহে আঘাতের চিহ্নও মেলে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকতলা থানায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। তবে ঘটনার পরেই অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, কালীপুজোর প্রসাদ বিতরণকে কেন্দ্র করে সেই রাতে অভিযুক্তদের সঙ্গে অনিলের গোলমাল শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, অভিযুক্তেরা সকলেই সে সময়ে মত্ত অবস্থায় ছিল। এক পুলিশকর্তা জানান, ওই রাতে গোলমালের সময়ে অনিলের আঘাতে মুখ ফাটে অভিযুক্ত সুকুমারের। এর পরে রাতে দু’পক্ষই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। অভিযোগ, পরের দিন সুকুমার এবং অন্যেরা ফের মারধর করে অনিলকে। তাতেই গুরুতর জখম হন ওই ব্যবসায়ী।