শীতে উৎসবের মরসুম শুরু হতেই চিড়িয়াখানায় বেড়েছে ভিড় —ফাইল ছবি
শীতে উৎসবের মরসুম শুরু হতেই চিড়িয়াখানায় বেড়েছে ভিড়। পাশাপাশি, বৃদ্ধি পেয়েছে যানজটের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও। এই পরিস্থিতিতে চিড়িয়াখানা সংলগ্ন এলাকায় যানজট কমাতে সেখানকার পার্কিং লট তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ। যা বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে। অর্থাৎ, আলিপুর রোডে চিড়িয়াখানার উল্টো দিকে একটি বেসরকারি হোটেলের পাশে গাড়ি রাখার যে জায়গা ছিল, তা তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই ঠিক হয়েছে, চিড়িয়াখানায় ভিড় আরও বাড়লে মোমিনপুর কিংবা একবালপুর মোড় থেকে বাস বা ছোট গাড়িগুলিকে আলিপুর রোডে চিড়িয়াখানার দিকে যেতে দেওয়া হবে না। নিয়ন্ত্রণ করা হবে চিড়িয়াখানার পাশের রাস্তা স্ট্যাডল রোডের যান চলাচলও। লালবাজার সূত্রের খবর, স্ট্যাডল রোডে গাড়ি রাখার জায়গা করা যায় কি না, তা ভেবে দেখছে পুলিশ। তবে কোনও অবস্থাতেই ওই এলাকায় অ্যাপ-ক্যাব বা অন্য গাড়ি যাতে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী ওঠানামা না করাতে পারে, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতি বছরই এ সময়ে শীতের মরসুমে সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে চিড়িয়াখানা ও ভিক্টোরিয়ায় ভিড় উপচে পড়ে। এ বারও তা-ই ঘটছে। গত সপ্তাহের শেষ দিনে পরিস্থিতি এমনই হয় যে, যানজটে থমকে যায় মা উড়ালপুল এবং এ জে সি বসু উড়ালপুলের যান চলাচল। সেই সঙ্গে কমান্ড হাসপাতালের সামনে আলিপুর রোডের একটি অংশ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। একই অবস্থা হয় বেলভেডিয়ার রোডেও। যার জেরে জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে রেসকোর্সমুখী সব গাড়িকেই দাঁড়িয়ে পড়তে হয়েছিল। পুলিশ ডিএল খান রোড, স্ট্যাডল রোড দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও বিকেলের আগে খুব একটা সুরাহা হয়নি। বুধবার সকালেও চিড়িয়াখানার ভিড় রাস্তায় নেমে আসায় সেখানে যান চলাচলের গতি থমকে গিয়েছে বার বার।
পুলিশের একাংশের মতে, চিড়িয়াখানার ভিড় রাস্তায় নেমে আসায় সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। সেই সঙ্গে রাস্তার মাঝে গাড়ি থামিয়ে ওঠানামা করার ফলেও গাড়ির গতি বাধা পেয়েছে বার বার। আগামী দিনে তা যাতে আর না হয়, তার জন্য এ দিন ওই এলাকা পরিদর্শন করেন কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার-সহ ট্র্যাফিক বিভাগের কর্তারা। ভিড় যাতে রাস্তায় চলে না আসে, তার জন্য অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে বলেও পুলিশি সূত্রের খবর।