বাজি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে চড় মারা হয় দিলীপবাবুকে। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রাজ্য জুড়ে দেদার বাজি ফেটেছে এ বারের কালীপুজো এবং দেওয়ালিতে। আর সেই ঘটনার জন্য গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু, শব্দবাজি ফাটানো নিয়ে প্রশ্ন করায় এ বার সেই পুলিশকেই চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়।
দেওয়ালির সন্ধ্যা থেকেই শহরজুড়ে শব্দবাজির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন নাগরিকরা। রাত যত বেড়েছে, বিকট আওয়াজে ফেটেছে শব্দ বাজি। প্রতিবাদ করে সুরাহা তো মেলেনি, উল্টে পুলিশের সামনেও দেদার বাজি ফেটেছে বলে অভিযোগ করছেন পরিবেশকর্মীরা। কিন্তু, উল্টো ঘটনা ঘটল নিউ মার্কেট এলাকায়। শব্দতাণ্ডব নিয়ে পদক্ষেপ করতে গিয়ে তিন যুবকের হাতে প্রহৃত হলেন নিউ মার্কেট থানার এক কনস্টেবল। রাস্তায় ফেলে তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই পুলিশকর্মী। পরে অবশ্য তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?
রাত ১০ টা। তখনও নিউ মার্কেটের কাছে মত্ত অবস্থায় তিন যুবক শব্দবাজি ফাটাচ্ছিলেন। এই দৃশ্য দেখে সেখানে কর্তব্যরত কনস্টেবল দিলীপ ঘোষ প্রতিবাদ করেন। শব্দবাজি ফাটাচ্ছেন কেন প্রশ্ন করতেই ওই পুলিশ কর্মীকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করেন রাহুলকুমার মাহাত, সত্যকুমার মণ্ডল এবং জিতেন্দ্র পাসওয়ান নামে তিন যুবক।
আরও পড়ুন: তিন বছরের শিশুর মুখে চকলেট বোমা ঢুকিয়ে আগুন! ছিন্নভিন্ন শরীরে ৫০ সেলাই
আরও পড়ুন: দেওয়ালিতে দূষণ-রাজধানী কলকাতা, বইছে বিষ বাতাস
বাজি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় দিলীপবাবুকে। চড় মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে নিউ মার্কেট থানা থেকে আসে আরও পুলিশ কর্মী। সেই সময় সেখান থেকে মত্ত তিন যুবক পালিয়ে গেলেও, পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে, বিচারক ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, কালীপুজো এবং দেওয়ালিতে শব্দবাজি এবং বিভিন্ন অপরাধে প্রায় ৬০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।