পারফর্ম করার উদ্দেশ্যে গঙ্গায় ফেলা হল চঞ্চলকে।
মাঝগঙ্গায় বিপজ্জনক ভাবে জাদু দেখাতে গিয়ে রবিবার জলে ডুবে মারা যান সোনারপুরের বাসিন্দা জাদুকর চঞ্চল লাহিড়ী। ঘটনার পরে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে শো আয়োজনকারী সংস্থা ‘ম্যাজিক বেল্ট ইন্ডিয়া’র বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, সংস্থার দুই সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশের দাবি ছিল, লঞ্চে খেলা দেখানোর অনুমতি নিলেও চঞ্চল জলে নামার অনুমতি নেননি। এমনকি ডুবুরি-সহ নিরাপত্তার অন্যান্য ব্যবস্থাও তাঁর সঙ্গে ছিল না। দু’টি লঞ্চ ও ক্রেন নিয়ে চঞ্চলেরা খেলা দেখাতে গিয়েছিলেন মাঝগঙ্গায়। হাওড়া সেতুর নীচে লঞ্চগুলি দাঁড় করিয়ে ম্যাজিক শুরু হয়। লঞ্চে বিশিষ্ট দর্শকেরা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছিল, এত কিছু কেন রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের নজর এড়িয়ে গেল? অবশ্য সোমবার পুলিশ দাবি করেছিল, নির্ধারিত সময়ের আগেই গঙ্গায় ম্যাজিক দেখানো শুরু করেন চঞ্চল। ফলে পুলিশ তা জানতে পারেনি।
ঘটনাচক্রে এ দিনই রিভার ট্র্যাফিকের ওসি রাজীব সরকারকে বদলি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, চঞ্চলের ঘটনায় রিভার ট্র্যাফিকের গাফিলতি ছিল মনে করায় ওসিকে বদলি করা হয়েছে। যদিও লালবাজারের দাবি, ওসির রুটিন বদলি হয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ চঞ্চলকে হাত-পা বেঁধে ক্রেনে করে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলা হয়। দর্শকেরা ভেবেছিলেন তিনি জাদু দেখিয়ে জলের উপরে উঠে আসবেন। কিন্তু তিনি জলের স্রোতে তলিয়ে যান। সোমবার হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে দু’পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে চঞ্চলের দেহের ময়না-তদন্ত করা হয়। এ দিন রাতে রাজপুর শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয় চঞ্চলের।