চলছে পুলিশি তল্লাশি। ছবি পিটিআই।
করোনা সংক্রমণ রুখতে চালু হওয়া অতিরিক্ত কড়াকড়ির মধ্যে রাস্তায় বেরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কর্মীদের সচেতন হওয়ার নির্দেশ দিল লালবাজার। সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি হয়, এমন কোনও কাজ না করতে। প্রয়োজনে বিধিনিষেধ অমান্য করে রাস্তায় বেরোনো গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আগে উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে বলা হয়েছে। এতে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন কারণে যাঁরা বেরোচ্ছেন, তাঁদের হয়রানি কমবে বলে মনে করছে লালবাজার।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে পালন করতে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে তিনশোর বেশি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পুলিশ। তবে তা করতে গিয়ে যাতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হন, তা দেখার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কেউ গাড়ি নিয়ে বেরোলে প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র দেখালে তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। যদি গাড়ির যাত্রী বা চালক জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রমাণের কোনও নথি না দেখাতে পারেন, তবেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ চলছে। এর জন্য সাধারণ মানুষ নিজের গাড়ি করে বেরোচ্ছেন। অনেক সময়ে পুলিশের দেওয়া ই-পাস না নিয়েই রাস্তায় নামছেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, এই সমস্ত ক্ষেত্রে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, তার জন্যই ওই নির্দেশ।
সূত্রের খবর, ট্র্যাফিক পুলিশের অফিসারদের সরকারি নির্দেশ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। সেখানে কোন কোন পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা বলা রয়েছে। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন সংগঠন বা নাগরিকেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা রোগীদের জন্য কাজ করছেন। তাঁরা রাস্তায় বেরোচ্ছেন রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ বা খাবার পৌঁছে দিতে। ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের প্রতি লালবাজারের নির্দেশ, এই সব ক্ষেত্রে দেখে নিতে হবে তাঁদের সঙ্গে খাবার বা ওষুধ রয়েছে কি না। অথবা তাঁরা কোনও অনুমতিপত্র নিয়ে ঘুরছেন কি না।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, আংশিক লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যাতে দ্রুত সর্বত্র পৌঁছতে পারে, তার জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী গাড়ি সারা দিন শহরের মধ্যে চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুধু মাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত লরিকেই ওই ছাড়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। কোথাও যাতে ওই লরি বা ট্রাক আটকে না যায়, তা দেখার জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।