—ফাইল চিত্র
টাকা-মোবাইল ছিনতাই করে টিকিয়াপাড়া ও দাশনগরের মাঝে চলন্ত ট্রেন থেকে তরুণীকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ধোঁয়াশা কাটছে না। গত রবিবার রাতের ওই ঘটনার পরে পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ঘটনার রাত থেকেই হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি তরুণীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোনও ভাবেই তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না। ফলে তদন্তও এগোচ্ছে না। রেলপুলিশের দাবি, মঙ্গলবার ওই তরুণীর দ্বিতীয় দফায় বয়ানের সঙ্গে প্রথম দিনের বয়ানের যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে। অন্য দিকে, ঘটনার তদন্তে নেমে কিছু সূত্র মিললেও সবটা তাঁর বয়ানের সঙ্গে মিলছে না। বেশ কিছু তথ্যে ধন্দ থাকছে। সেই জট কাটাতে তরুণীর থেকে স্পষ্ট করেও কিছু জানা যাচ্ছে না বলে দাবি তদন্তকারীদের।
রেলপুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে তরুণীর মোবাইলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারত। কিন্তু রবিবার রাতে তরুণীর পাশ থেকে তাঁর ব্যাগটি মিললেও মোবাইল উদ্ধার হয়নি। নিজের মোবাইল নম্বরও বলতে পারছেন না তিনি। ফলে ঘটনার আগে বা পরে কার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল, সেটাও জানতে পারছেন না তদন্তকারীরা।
তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে তিনি রামরাজাতলায় যাচ্ছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী কেন সেখানে যাচ্ছিলেন, সেটা তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট নয়। খড়্গপুরের রেলপুলিশ সুপার অবধেশ পাঠক বলেন, ‘‘তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বেশি জিজ্ঞাসাবাদও করা যাচ্ছে না। তিনি যে যুবকের বিবরণ দিয়েছেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সেই রকম এক জনের ছবি পাওয়া গেছে। সেটাও ওঁকে দেখানো হবে।’’