‘নো পার্কিং’ এলাকায় দাঁড় করানো গাড়ি পুলিশ তুলে নিয়ে যায় ট্র্যাফিক গার্ডে। প্রতীকী ছবি।
‘নো পার্কিং’ এলাকায় দাঁড় করানো ছিল গাড়ি। পুলিশ সেই গাড়ি তুলে নিয়ে যায় ট্র্যাফিক গার্ডে। পুলিশের অভিযোগ, এর পরে গাড়ির মালিক ট্র্যাফিক গার্ডে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন পুলিশকর্মীদের। এমনকি, ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টরকে ধাক্কা পর্যন্ত মারেন। গাড়ির মালিকের পাল্টা অভিযোগ, ট্র্যাফিক গার্ডে গিয়ে গাড়ি তুলে আনার কারণ জানতে চাওয়ায় তাঁদেরই বেধড়ক মারধর করেন পুলিশকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই নিয়ে ধুন্ধুমার বেধে গেলভিআইপি রোডের ধারে লেক টাউন ট্র্যাফিক গার্ডে।
এই ঘটনায় গাড়ির মালিক সাকেত আগারওয়াল এবং লেক টাউন ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে লেক টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও সন্ধ্যার পরে সাকেত জানান, তাঁরা তাঁদের তরফে মামলা আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না। লেক টাউন ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীদের একাংশের তরফেও সাকেত ও তাঁর ভাই শিবমের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ দিন দুপুরে ট্র্যাফিক গার্ডের সামনে ওই ঘটনা দেখে লোকজনের ভিড় জমে যায়। বাঙুরেরবাসিন্দা সাকেতের অভিযোগ ছিল, তিনি বাঙুরে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওষুধের দোকানে ঢুকেছিলেন। দোকান থেকে বেরিয়েই দেখেন,গাড়ি নেই। তাঁর দাবি, ‘‘এক রিকশাচালকের কাছ থেকে জানতে পারি, পুলিশ আমার গাড়ি নিয়ে গিয়েছে। আমি লেক টাউন থানায় যাই। সেখান থেকে আমাকেট্র্যাফিক গার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে আমি গাড়ির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ট্র্যাফিক গার্ডেরপুলিশকর্মীরা বেরিয়ে এসে আমাকে ও আমার ভাইকে বেধড়ক মারধর করেন।’’
বিধাননগর কমিশনারেটের পাল্টা দাবি, ওই ব্যক্তি ট্র্যাফিক গার্ডে এসে গাড়ি ফেরত চেয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। পুলিশকর্মীদের চাকরি খেয়ে নেওয়ারও হুমকি দেন। এক উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টরকে উনি ধাক্কা মারেন। ওঁর গাড়ি সার্ভিস রোডে দাঁড় করানো ছিল। ওখানে পার্কিং নেই। তাই ওঁকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ গাড়ি তুলে আনে। পুলিশকর্মীদের আগেও নিগ্রহ করা হয়েছে। আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশকে ধাক্কা মারলেও আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশকর্মীরা পাল্টা কেন মারবেন? ওই আধিকারিকজানান, পুলিশকর্মীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে।