Calcutta News

স্পা-এর আড়ালে দেহব্যবসা, বালিগঞ্জে তাইল্যান্ডের দুই তরুণী-সহ গ্রেফতার ৮

পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বোস রোডের ওই স্পা-তে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালান অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ)-এর আধিকারিকেরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ১২:৪৮
Share:

স্পা-এর আড়ালে চলছে দেহব্যবসা। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

খাস কলকাতা শহরে স্পা-এর আড়ালে রমরমিয়ে চলছে দেহব্যবসা।তাইল্যান্ড থেকে যৌনকর্মীদের এনে চলছে সেই কারবার।মঙ্গলবার বালিগঞ্জ এলাকার একটি স্পা-তে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায় মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বোস রোডের ওই স্পা-তে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালান অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ)-এর আধিকারিকেরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা।

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ওই স্পা-তে গিয়ে দু’জন যৌনকর্মীর সঙ্গে দুই ব্যক্তিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন তাদের আধিকারিকেরা। এর পর সেখানে তল্লাশি চালান তাঁরা। ওই দু’জন ছাড়াও স্পা-তে আরও এক জন যৌনকর্মী ছিলেন। তিন জনের মধ্যে দু’জন যৌনকর্মী তাইল্যান্ডের নাগরিক। ঘটনাস্থল থেকে ২৪,২০০ টাকা, কন্ডোম এবং বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্পা-এর আড়ালে সেখানে বেশ কিছু দিন ধরেই দেহব্যবসা চলছিল বলে অভিযোগ। যৌনকর্মীরা ছাড়াও সেখানে এক জন দালাল এবং ওইস্পা-এর ম্যানেজার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করে বালিগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইটি(পি) আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে ঝুলছে যুবতীর পচাগলা দেহ, রহস্য

তদন্তের পর এএইচটিইউ আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, তাইল্যান্ডের ওই যৌনকর্মীরা ব্যাঙ্ককে এ ধরনের স্পা-তে কাজ করতেন। ব্যাঙ্ককে বেড়াতে গিয়ে শহরের এক ব্যবসায়ী তাঁদের লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব দিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েই তাঁরা শহরে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন: নেতাজিনগরেও সেই মিস্ত্রি যোগ! আততায়ীরা জানত আলমারিতে আড়াই লাখ, আছে সোনার গয়না

ধৃতদের জেরার পর জানা গিয়েছে, ট্যুরিস্ট ভিসাতে কলকাতায় এসেছিলেন তাইল্যান্ডের ওই যৌনকর্মীরা। ওই স্পা-মালিকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, ব্যাঙ্ককে গিয়ে যিনি ওই মেয়েদের ভাড়া করে নিয়ে এসেছে, সেই ব্যক্তিরও খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

এই ঘটনার তদন্তে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ওই দু’জনই নন, এ শহর ও তার আশপাশের এলাকায় তাইল্যান্ডের আরও যৌনকর্মী দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িতে রয়েছেন। ওই চক্রটি শহর জুড়েই বেশ সক্রিয় বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।

কলকাতা পুলিশের কর্তাদের মতে, ইউরোপীয় যৌনকর্মীরা জড়িত এ শহরে দেহব্যবসায় রয়েছেন, এমনটা নতুন নয়। তবে তাইল্যান্ড থেকে যৌনকর্মীরা এসে এ শহরে দেহব্যবসায় লিপ্ত হচ্ছেন— এটা নতুন ট্রেন্ড।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement