সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া চোরেদের ছবি। ছবি: সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ থেকে নেওয়া।
চুরি করা যে ‘মহাবিদ্যা’ তা বলে গিয়েছে বহু ‘গুণী’ জন। কিন্তু সেই ‘মহাবিদ্যা’ যে সমীর দাস এবং শোভন ওঁরাও ঠিকমতো বাগে আনতে পারেনি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘মহাবিদ্যা’র পাঠ ঠিকমতো না নেওয়ার ফলও পেল হাতেনাতে। চুরি করা সিসিটিভির ফুটেজ দেখেই চুরির সামগ্রী-সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল দুই চোর।
দুই চোর বাঁশদ্রোণীর নস্করপাড়ার সমীর দাস এবং শোভন ওঁরাও। শুক্রবার ভোরে তারা দু’জনে মিলে বাঁশদ্রোণীরই একটি অফিসের দরজা ভেঙে চুরি করে। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাঁশদ্রোণীর ওই অফিসটি অলোককুমার সালুই নামে এক ব্যবসায়ীর। তিনি অভিযোগে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে তাঁর অফিস বন্ধ ছিল। শুক্রবার সকালে তিনি অফিস খুলতে গিয়ে দেখেন দরজার লোহার রড ভাঙা, অফিসের ভিতরে কাগজপত্রের ছড়াছড়ি। ভিতরে ঢোকার পর দেখেন দুটো কম্পিউটারের মনিটর, একটি খালি এলপিজি সিলিন্ডার, নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং ওই সিসিটিভি ক্যামেরা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে চোর। চুরি যাওয়া সমস্ত সামগ্রীর আনুমানিক মূল্য ২৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ‘আমার চার বছরের মেয়ে এখন কাশ্মীরে, গত ৪৮ ঘণ্টা ওর গলা শুনিনি’
আরও পড়ুন: কাশ্মীর থেকে বিশ্বের নজর ঘোরাতে ‘যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি’ তৈরি করতে পারে ভারত: ইমরান
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চান অলোককুমারের কাছে। সিসিটিভি-তে যে এত সহজে চোররা ধরা দেবে, তা বোধহয় পুলিশও ভাবতে পারেনি। অফিসের সামনের রাস্তা দিয়ে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট আর টি-শার্ট পরে নিশ্চিন্তে দুই চোরের হেঁটে যাওয়া থেকে ওই সিসিটিভিটাই চুরি করা, সবটা ক্যামেরায় পরিষ্কার ভাবে ধরা পড়েছে। পুলিশের দাবি, দুই চোর বোধহয় ভেবেছিল, সিসিটিভি চুরি করলেই আর কোনও প্রমাণ থাকবে না। সিসিটিভির সেই ফুটেজ দেখেই সহজে তদন্তে কিনারা করে ফেলে পুলিশ।