প্রতীকী ছবি।
ডাকাতি করাই ছিল তার পেশা। কিন্তু বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাঁ হাতের কব্জি থেকে বাকি অংশ বাদ চলে যায় করিম পিয়াদার। তার পরে ডাকাতি ছেড়ে চুরি করতে শুরু করেছিল সে। কালীপুজোর রাতে টালার খেলাতবাবু লেনের বাড়িতেও চুরি করতেই ঢুকেছিল সে। কিন্তু সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কাটা হাত দেখেই করিমকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করল পুলিশ।
লালবাজার জানিয়েছে, কালীপুজোর রাতে লুটপাট এবং এক বৃদ্ধাকে খুনের চেষ্টার ঘটনার তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দুষ্কৃতীর কাটা হাত কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখতে পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, তদন্তে নেমে সূত্র বলতে মিলেছিল দুষ্কৃতীর কাটা বাঁ হাত এবং হাফ প্যান্ট। এর পরে সোর্সদের কাছে খোঁজখবর করতেই করিম তথা হাতকাটা করিমের কথা জানতে পারে পুলিশ।
কলকাতার পাশাপাশি ক্যানিং থানা এলাকায় করিম আস্তানা গেড়েছিল। সোমবার বাসন্তী থেকে তাকে ধরার পরে সে চুরির কথা স্বীকার করে। পুলিশের একাংশের দাবি, এর আগে ডাকাতির মামলায় করিমকে গ্রেফতার করা হলেও সে কলকাতায় অপরাধ করে না বলেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। ধৃতকে জেরায় জানা গিয়েছে, ওই রাতে চুরির পরে করিম ক্যানিংয়ে ফিরে গেলেও তপসিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে চুরির জিনিস রেখে যায়। যার কিছুটা অংশ উদ্ধার করা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
তদন্তকারীরা জানান, ফাঁকা ভেবেই খেলাতবাবু লেনের ওই বাড়িটিতে চুরি করতে ঢুকেছিল করিম। কিন্তু ঘরে ঢুকে বিছানায় ওই বৃদ্ধাকে দেখতে পায় সে। বৃদ্ধার ঘুম ভেঙে গিয়ে তিনি চিৎকার করতে গেলেই তাঁর মুখে সজোরে ঘুষি মারে করিম। তাতেই বৃদ্ধার চোয়াল ভেঙে যায় বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে করিমকে। চুরি যাওয়া বেশ কিছু আরবিআই-এর মুদ্রা তার ক্যানিংয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।