বাক্সে ফল ছিল। আর সেই ফলের নীচেই লুকিয়ে রাখা ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ফল ব্যবসায়ী সেজে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ৩ দুষ্কৃতীর হাতে সেই বাক্স পাচার করছিল খোদ বাসেরই হেল্পার। খুব সন্তর্পণে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসে হানা দিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও করে দুষ্কৃতীদের।
শুক্রবার সাত সকালে কলেজ স্ট্রিটের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জখম হয়েছেন এক পুলিশ কর্মীও।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ৪ দুষ্কৃতীদের মধ্যে তিন জন জোড়াসাঁকোর কলাবাগানের বাসিন্দা। ১ জনের বাড়ি বিহারে। উদ্ধার হওয়া দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৮ রাউন্ড গুলি বিহার থেকেই আনা হয়েছিল।
জেরায় পুলিশ জেনেছে, ফলের ঝুড়ি সমেত সেই আগ্নেয়াস্ত্র বৃহস্পতিবার রাতে বাসের হেল্পার মহম্মদ মন্টুর হাতে দিয়েছিল এক জন। সঙ্গে দিয়েছিল এক ব্যক্তির নাম লেখা একটি চিরকুটও। ওই ব্যক্তির কাছেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পাচার করার কথা ছিল। এ দিন সকালে মন্টু স্ট্যান্ডে বাস থামিয়ে সেগুলিই দাঁড়িয়ে থাকা তিন দুষ্কৃতীকে দিচ্ছিল। তখনই পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার রাতে টহলদারির সময়ে নিউটাউন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। তার নাম নিহার মণ্ডল। তার কাছ থেকে ২ টি দেশি পিস্তল এবং ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে নিউটাউনের যাত্রাগাছি এলাকা থেকে ৬টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।