প্রতীকী ছবি।
এটিএমের ভিতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সন্দেহজনক কয়েক জন। এক বার ভিতরে ঢুকছে, আবার বাইরে বেরিয়ে আসছে। সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালাতে গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখে সন্দেহ হয় ব্যাঙ্ককর্মীদের। লালবাজারে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে ওই এটিএম থেকে প্রথমে সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করে। পরে তাদের জেরা করে আটক করা হয় আরও এক জনকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় দশটি ক্লোন করা সাদা এটিএম কার্ড। পরে গ্রেফতার করা হয় ওই চার জনকে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে গরফা থানা এলাকার ঢাকুরিয়ায়। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় লালবাজারের ব্যাঙ্ক-জালিয়াতি দমন শাখার তদন্তকারীরা। আটক চার জনকে গ্রেফতার
করার পরে ক্লোন করা এটিএম কার্ডগুলি বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রাকেশ সিংহ, দেব নন্দন, নীতেশ কুমার এবং নবীন কুমার। প্রথম তিন জন বিহারের গয়ার বাসিন্দা। অন্য জনের বাড়ি হরিয়ানায়। শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশের অনুমান, ধৃতেরা ‘গয়া গ্যাং’-এর সদস্য। এটিএমে কারসাজি করে জালিয়াতিতে যারা সিদ্ধহস্ত।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, এটিএম কার্ড ক্লোন করে বা স্কিমিং-এর মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেই ওই চার যুবক শহরে এসেছিল। শিয়ালদহ এলাকার কোনও অতিথিশালা বা হোটেলে উঠেছিল তারা। এর আগে একই কায়দায় এ শহরে এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবারই কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলের এটিএম ক্লোন করে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ক্ষেত্রেও প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, ঢাকুরিয়ার একটি এটিএম থেকেই ওই টাকা তোলা হয়েছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে ধৃতদের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তবে, এই ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ
দেখছেন গোয়েন্দাদেরই একাংশ। তাঁদের অনুমান, শহরের বুকে ফের সক্রিয় হতে চাইছে এটিএম জালিয়াতির চক্র।
পুজোর মুখে এটিএম-জালিয়াতি চক্রের সন্ধান মেলায় নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। শহরের সব ক’টি থানাকে নিজেদের এলাকার সমস্ত এটিএমের উপরে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, ব্যাঙ্কগুলিকেও এটিএম নিয়ে সর্তক করা হয়েছে। বিশেষত, রক্ষীবিহীন এটিএমের উপরে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বেশি করে নজর রাখতে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে।