প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন কৌশলে লোকজনকে ঠকানোর চেষ্টা শুরু করেছে প্রতারকেরা। একটি ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে তারা। পুলিশ অবশ্য একটি চক্রের কয়েক জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। ঘটনার পরে নড়ে বসেছে প্রশাসন। যাচাই না-করে যাতে নাগরিকেরা তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য না-দেন, সে বিষয়ে তাঁদের সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছে বিধাননগর পুলিশ।
প্রতারণার সাম্প্রতিক হাতিয়ার হিসেবে দুষ্কৃতীরা বেছে নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে। পুলিশ জানাচ্ছে, দুষ্কৃতীরা প্রথমে কারও আত্মীয় বা বন্ধুর নামে ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলছে। সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁদের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করছে। তার পরে তারা জানাচ্ছে, সেই আত্মীয় বা বন্ধু বিপদে পড়েছেন। অবিলম্বে তাঁর কিছু টাকার দরকার। সেই টাকা যেন একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। এমন বার্তা পেয়ে প্রতারিতেরা ভাবছেন, তাঁদের পরিচিত বন্ধু বা আত্মীয় সত্যিই বিপদে পড়ে টাকা চাইছেন।
ঠিক এ ভাবেই সম্প্রতি প্রতারিত হয়েছেন লেক টাউনের এক বাসিন্দা। বিদেশে থাকা তাঁর এক বন্ধুর নামে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলে দুষ্কৃতীরা। সেই নম্বর থেকে লেক টাউনের ওই ব্যক্তির সঙ্গে তারা প্রথমে কথাবার্তা বলে নেয়। বিদেশের নম্বর এবং বন্ধুর ছবি দেখে সন্দেহ হয়নি অভিযোগকারীর। এর পরে তাঁকে বলা হয়, জরুরি কারণে আট লক্ষ টাকা দরকার। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি তা ফেরত পেয়ে যাবেন। বন্ধুর ছবি এবং ফোন নম্বর দেখে ওই ব্যক্তিও টাকা দিয়ে দেন। পরে টাকা ফেরত আসছে না দেখে তিনি বিদেশে থাকা বন্ধুকে ফোন করতেই প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
এক পুলিশকর্তা জানান, প্রতারণার নতুন এই কৌশল সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা হচ্ছে। বিশেষত ভিন্ রাজ্য বা দেশে যাঁদের আত্মীয়-বন্ধুরা রয়েছেন, তাঁরা যাতে অচেনা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে মেসেজ এলে কোনও তথ্য সরবরাহ না করেন, সেই আবেদন করছে পুলিশ। এ ছাড়া কেওয়াইসি আপডেট করা, কম সুদে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি-সহ নানা অজুহাতে প্রতারকেরা ফোন করে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের পরামর্শ, গ্রাহকেরা যেন নিশ্চিত না-হয়ে কোনও তথ্য সরবরাহ না করেন।