প্রতীকী ছবি।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর উপরে যৌন হেনস্থার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে অবশেষে স্বীকার করল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে দেখছি। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, কোনও অ্যাপ-নির্ভর খাবার সংস্থার কর্মী ওই ঘটনায় জড়িত। আমরা তাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’’ ঘটনাটি শনিবার দুপুরে হলেও পুলিশ সে দিন রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করেনি।
প্রেসিডেন্সির স্নাতকোত্তর বিভাগের ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেকের ছাত্রীদের হস্টেলে থাকেন। তাঁর অভিযোগ, হস্টেলের বাইরে ঘটনাটি ঘটে। সে সময়ে তিনি একটি কাজে বেরিয়েছিলেন। অভিযুক্ত যুবক রাস্তায় তাঁর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁকে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ।
এ দিকে ওই ঘটনায় সল্টলেকের বাসিন্দারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঘটনাটি সল্টলেকের বিএফ ব্লকের যেখানে হয়েছে, সেই জায়গাটি যথেষ্ট জনবহুল। ঘটনাস্থলের কাছেই রয়েছে প্রচুর দোকান, একটি কলেজ ও সুইমিং পুল। ঘটনাস্থলের খুব কাছে বিধাননগর উত্তর থানাও। বিএফ ব্লকের বাসিন্দারা পুলিশের তৎপরতা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, থানার এত কাছে দুপুর বেলায় যদি এমনটা ঘটে, তা হলে এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশ কেন অপরাধীদের চিহ্নিত করে এখনও গ্রেফতার করতে পারছে না, সে প্রশ্নও তুলেছেন বাসিন্দারা।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লস হস্টেলের ছাত্রীরা জানাচ্ছেন, নিগৃহীতা ছাত্রী এখনও যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন। হস্টেলের এক ছাত্রী বলেন, ‘‘পড়াশোনা সেরে আমরা রাতেও অনেক সময়ে হস্টেলে ফিরি। তা হলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? এলাকায় আশপাশে প্রচুর খাবারের দোকান থাকায় অ্যাপ নির্ভর খাবার সংস্থার প্রচুর যুবক ওই এলাকায় ভিড় হয়। ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি। আশা করছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হবে।’’
এলাকার কাউন্সিলর তথা নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘ওই এলাকায় এ রকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। কী ঘটেছিল খোঁজ নিয়ে দেখব। হস্টেলের ছাত্রীদের কোনও রকম অসুবিধা হলে আমরা নিশ্চই ওঁদের পাশে দাঁড়াব।’’