—প্রতীকী চিত্র।
নদীর উপরের জলস্তর থেকে ৩৩ মিটার নীচে তৈরি হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জোড়া সুড়ঙ্গ। ওই জোড়া সুড়ঙ্গের পেট চিরে ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। আগামী ৬ মার্চ আবার বঙ্গসফরে এসে তার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার এ কথা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
দেশের মধ্যে কলকাতাতেই প্রথম মেট্রো রেল চালু হয়েছিল। সেই মহানগরীর মুকুটেই আবার নতুন পালক। দেশে প্রথম কোনও শহরে নদীর তলা দিয়ে যাবে মেট্রো রেল। চারটি স্টেশন— হাওড়া ময়দান, হাওড়া স্টেশন, মহাকরণ, এসপ্ল্যানেড স্টেশন। সব মিলিয়ে ৪.৮ কিলোমিটার। গঙ্গার নীচে ৫২০ মিটার টানেল পেরোতে সময় লাগবে ৪৬ সেকেন্ড।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই মেট্রো পথে সফল মহড়া হয়েছে। গত বছরের শেষে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। শনিবার রেলমন্ত্রী জানান, সত্তরের দশক থেকে কলকাতায় মেট্রোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছরে যা কাজ হয়েছে, তা আগের ৪০ বছরেও হয়নি। মোদী সরকারের আমলেই মেট্রোর কাজ গতি পেয়েছে। অশ্বিনীর কথায়, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মধ্যে একটি হবে। তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী।’’
সম্প্রতিই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নদী খাতের থেকে আরও ১৩ মিটার গভীরে পলিমাটির ভিতর দিয়ে গিয়েছে মেট্রোর সুড়ঙ্গ দু’টি। অর্থাৎ, সেগুলি জলে নেই। রয়েছে নদী খাতের পলিমাটির মধ্যে। তার অর্থ, যাত্রীদের মাথার উপর দিয়ে গঙ্গা বইবে। ওই সুড়ঙ্গ পথ পার হওয়ার সময়ে যাত্রীদের বিশেষ অনুভূতি দিতে নীল রঙের এলইডি আলো বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সেই নীল আলোর সঙ্গে ফোনে নেটওয়ার্ক থাকার প্রযুক্তিও রাখছে রেল। জলস্তরের ৩৫ মিটার নীচ দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অপটিক্যাল ফাইবার বসানো হচ্ছে। তাতে ফাইভ জি গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।