পুজোর আগে সরছে না প্লাস্টিকের ছাউনি

বিকল্প স্টল তৈরি হয়নি। কড়া নাড়ছে বর্ষাও। ফলে আপাতত প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন দাহ্য বস্তু দিয়ে তৈরি হকারদের ছাউনিও সরছে না কলকাতার ফুটপাত থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৯ ০২:৫৫
Share:

হাতিবাগানের ফুটপাতের দোকানে রয়েছে প্লাস্টিকের ছাউনি। নিজস্ব চিত্র

বিকল্প স্টল তৈরি হয়নি। কড়া নাড়ছে বর্ষাও। ফলে আপাতত প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন দাহ্য বস্তু দিয়ে তৈরি হকারদের ছাউনিও সরছে না কলকাতার ফুটপাত থেকে।

Advertisement

গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, ধর্মতলা-সহ শহরের সিংহভাগ জায়গাতেই হকারদের স্টল প্লাস্টিকের মতো দাহ্য বস্তু দিয়ে তৈরি। তবে পুর আধিকারিকেরা জানান, বর্ষার পরে এবং পুজোর আগেই বিকল্প স্টল তৈরি হয়ে যাবে। তখন ওই ছাউনি খুলে ফেলতে হবে হকারদের। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, পুজোর আগেই ওই স্টল বিলি শুরু হবে। স্টলগুলি এমন ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে যাতে গ্রীষ্মে কিংবা বর্ষায় হকারদের অসুবিধায় না পড়তে হয়।

জানুয়ারিতে গড়িয়াহাট মোড়ে একটি অগ্নিকাণ্ডে স্থানীয় পাঁচটি দোকান-সহ ফুটপাতে থাকা হকারদের সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকল বিভাগ তদন্ত শুরু করে জানতে পারে যে ফুটপাতের হকারদের প্লাস্টিকের ছাউনি থেকেই আগুন

Advertisement

দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল গড়িয়াহাটের স্থানীয় বহুতলে। ওই ঘটনার পরেই হকারদের স্টল থেকে প্লাস্টিকের ছাউনি সরাতে নির্দেশ দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন কোনও অবস্থাতেই রাস্তায়, ফুটপাতে থাকা হকারেরা প্লাস্টিক, পলিথিনের ছাউনি ব্যবহার করতে পারবেন না। সব জায়গা থেকে হকারদের প্লাস্টিকের ছাউনি সরিয়ে দিতে হবে। পরে কলকাতা পুলিশের তরফেও প্রতিটি থানাকে ফুটপাত থেকে সব ছাউনি সরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যার ভিত্তিতে গড়িয়াহাট-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল প্লাস্টিকের ছাউনি।

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে ভোট এবং তার পরে প্রাক বর্ষার বৃষ্টির কারণে ওই ছাউনি সরানোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এক মাসের মধ্যেই ফের শহরের ফুটপাত ঢেকে গিয়েছে প্লাস্টিকের ছাউনিতে। এক দিকে পুরসভার মেয়রের নির্দেশ অন্য দিকে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, এর পরেও কেন প্লাস্টিকের ছাউনি সরানো হবে না?

গড়িয়াহাটের একাধিক হকারের দাবি, তাঁদের বিকল্প স্টল দেওয়ার কথা বলা হলেও এ পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। তাই বৃষ্টির হাত থেকে জিনিসপত্র বাঁচাতে তাঁরা প্লাস্টিকের

ছাউনি ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন। হাতিবাগানের ব্যস্ত ফুটপাতের হকারেরাও একই কথা জানিয়েছেন। গড়িয়াহাটের আইএনটিটিউসি

হকার সংগঠনের নেতা দেবরাজ ঘোষ বলেন,‘‘মেয়রের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রথম দফায় ৩০টি স্টল তুলে দেওয়া হবে হকারদের হাতে। তবে যত দিন না ওই স্টল আসছে, তত দিন প্লাস্টিকের ছাউনি থাকবে।’’ মেয়র জানান, শহরের হকারদের জন্য বিশেষ ধরনের স্টল তৈরি হচ্ছে। গড়িয়াহাটের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হকারদের বিনামূল্যে ওই স্টল দেওয়া হবে। তবে, অন্য জায়গার হকারদের তা কিনতে হবে।

মেয়র আগেই জানিয়েছিলেন, তাইল্যান্ডের রাস্তায় যে ধরনের স্টলের নীচে বসে হকারেরা ব্যবসা করেন, তেমন স্টল তৈরির ভাবনাচিন্তা রয়েছে পুরসভার। পুরসভা সূত্রের খবর, স্টলগুলি কী ধরনের হবে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার এন্টালি ওয়ার্কশপে সেগুলি তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। যা পুজের আগেই শেষ হয়ে যাবে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement