কার্নিভাল শেষে দূষণ ছড়াচ্ছে প্লাস্টিকের পাউচ

ওই রাস্তার নিত্যযাত্রীদের বড় অংশের অভিযোগ, রেড রোড ধরে হেঁটে গেলে যেখানে মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল তাঁর দু’ধারে এখনও পড়ে রয়েছে সার সার প্লাস্টিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৫০
Share:

যত্রতত্র: রেড রোডের পাশে ছড়িয়ে প্লাস্টিকের পাউচ। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুজোর পরে কার্নিভালও শেষ হয়ে গিয়েছে সাত দিন হল। তবু সাফ হয়নি ময়দানের রেড রোড সংলগ্ন এলাকা। রবিবার সেখানেই যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা গেল প্লাস্টিকের জলের পাউচ। সরকারি উৎসবের জন্য তৈরি মঞ্চের কাঠামো খোলার কাজ শেষ হয়ে গেলেও ওই প্লাস্টিকের দিকে কারও নজর পড়েনি বলেই অভিযোগ! তা সে যতই রাজ্য সরকারের তরফে প্লাস্টিক নিয়ে সচেতনতার প্রচার শুরু হয়ে থাকুক না কেন।

Advertisement

ওই রাস্তার নিত্যযাত্রীদের বড় অংশের অভিযোগ, রেড রোড ধরে হেঁটে গেলে যেখানে মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল তাঁর দু’ধারে এখনও পড়ে রয়েছে সার সার প্লাস্টিক। পুরকর্মীদের তো বটেই, ওই রাস্তায় কাজ করা ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদেরও সে দিকে হুঁশ নেই। পরিবেশকর্মীদের বড় অংশ অবশ্য বলছেন, প্লাস্টিক নিয়ে যত প্রচার করা হোক না কেন, সরকারের তরফেই যে গাফিলতি রয়েছে তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট। এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘প্লাস্টিক পড়ে থাকা তো পরের কথা, প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে যেখানে ধারাবাহিক প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য সরকার, সেখানে সরকারি অনুষ্ঠানে প্লাস্টিকের রমরমা ব্যবহার হবে কেন?’’

আর এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘সচেতনতা প্রচার যতই চলুক, মানুষ যে বিন্দুমাত্র সচেতন হননি এই ঘটনাতেই তা আবার প্রমাণিত। যত ক্ষণ না এই রকম প্লাস্টিক যত্রতত্র ফেলে রাখার জন্য জরিমানা চালু করা হবে, তত ক্ষণ এই প্রবণতা থামবে না।’’

Advertisement

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, ধাপায় প্রতিদিন যত টন প্লাস্টিক পড়ে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যক প্লাস্টিক হল ক্যারিব্যাগ ও দুধের পাউচ। পরিসংখ্যান বলছে, ধাপায় প্রতিদিন ৪২৬ টন প্লাস্টিক জমা হয়। অর্থাৎ, মাসে ১২,৭৮০ টন। ওই প্লাস্টিক বর্জ্যে দুধের পাউচ যেমন থাকে, তেমনই থাকে নরম পানীয়ের বোতল, ক্যাসেট ও সিডির ঢাকনা, স্ট্র, প্লাস্টিকের পাত-সহ একাধিক জিনিস। কিন্তু প্লাস্টিক নিয়ে এত সচেতনতা প্রচারের পরেও সাত দিন ধরে কী ভাবে সেনা এলাকায় ওই বর্জ্য পড়ে থাকল, তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন দেখা গিয়েছে। তাদের জায়গা হওয়ায় এমনিতেই ময়দান এলাকা পরিষ্কার রাখা নিয়ে সেনাবাহিনীর আলাদা নজর থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে তা কেন হয়নি প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েও।

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল) দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘এ ভাবে প্লাস্টিক পড়ে থাকার কথা নয়। রেড রোড সেনার এলাকা হলেও, সেখানে আমরাই সাফাইয়ের কাজ করি। কার্নিভাল শেষ হওয়ার পরের দিন থেকেই ওই এলাকা সাফাইয়ের কাজ শুরু করা হয়েছিল। কোথাও একটা গাফিলতি হয়েছে। দ্রুত সাফ

করতে বলছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement