প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধারণ মানুষ আদৌ কতটা সচেতন, তা নিয়ে হামেশাই প্রশ্ন উঠছে। তার মধ্যে করোনা-যুদ্ধে অন্যের পাশে থাকতে রবিবার একটি রক্তদান শিবিরে প্লাজ়মা দান করলেন নিউ টাউনের ১৯ জন করোনাজয়ী।
নিউ টাউনের সিবি ব্লকের কমিউনিটি হলে ওই শিবিরের আয়োজন করে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায়, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কামনাশিস সেন প্রমুখ। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে কর্মীরা এসে এই প্লাজ়মা সংগ্রহ করেন।
আয়োজক সংগঠনের তরফে অঙ্কুর রায়চৌধুরী জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে আক্রান্তদের জন্যে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করা থেকে শুরু করে খাবার-ওষুধ সংগ্রহ করা, যে কোনও প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর কাজ করছে তাঁদের এই সংগঠন। এ ভাবেই তাঁরা গত কয়েক মাসে ১৮০ জন কোভিড আক্রান্তদের সাহায্য করতে পেরেছেন। এর পরে তাঁরা পরিকল্পনা করেন, ওই কোভিডজয়ীদের দিয়ে প্লাজ়মা দান করানোর। কারণ তাতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন করোনা-আক্রান্তেরা উপকৃত হবেন।
সেই কথা ভেবে হাসপাতালে কয়েক জন কোভিডজয়ীকে পাঠানো হলেও দেখা যায়, তা অনেকটাই সময়সাপেক্ষ বিষয়। পাশাপাশি, এক এক জন করে রক্তদান করে আখেরে কতটা চাহিদাপূরণ করা সম্ভব, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল বাসিন্দাদের। ফলে একেবারে শিবির করে প্লাজ়মা দান করার পরিকল্পনা করা হয়।
ওই সংগঠন সূত্রের খবর, প্লাজ়মা দান করতে বহু করোনাজয়ী ইচ্ছুক থাকলেও চিকিৎসকেরা জানান, প্রথম পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার ৩৮ দিন পেরিয়ে গেলে তবেই কোনও ব্যক্তি প্লাজ়মা দান করতে পারবেন। ফলে ৫০ জনের প্রাথমিক তালিকা থেকে ২৪ জন করোনাজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়। এ দিন তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করার পরে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের ক্ষেত্রে প্লাজ়মা দান করতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। ফলে শেষ পর্যন্ত শিবিরে প্লাজ়মা দান করেন ১৯ জন করোনাজয়ী।