ফাইল ছবি
হিমাচলের রাস্তায় গাছে আপেল ঝুলতে দেখা যায়। এ বার সল্টলেকের রাস্তায় গাছে গাছে লিচু, আম, কাঁঠাল ঝুলে থাকতে দেখা গেলে কেমন লাগবে? বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সল্টলেকে গাছের স্বাস্থ্য-সমীক্ষা করতে বেরিয়েছিলেন বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা। সমীক্ষার পরে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, লম্বা শিকড় ছড়ানো চওড়া গুঁড়ির দীর্ঘদেহী গাছ নয়, বরং সল্টলেকের জন্য আদর্শ আম, লিচু, কাঁঠাল, আঁশফল ও বড় পাতার মেহগনির মতো গাছ। চলতে পারে নিমও।
যাদবপুরের তরফে এ দিন এই সমীক্ষা করতে আসেন জাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ পর্ষদের সহ-অধিকর্তা সৌম্যজিৎ বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) রহিমা বিবি ও পুরকর্মীরা। সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তায় পুরসভার চিহ্নিত বিপজ্জনক গাছগুলি ঘুরে দেখেন সৌম্যজিৎ। চিহ্নিত করা হয় পেরেক পুঁতে সাইন বোর্ড ঝোলানো একাধিক গাছও।
এফডি ব্লকের একটি কাঠবাদাম গাছ, বিবি ব্লকের একটি মেহগনি গাছ ও কেষ্টপুর খালপাড়ের একটি জঙ্গল জিলিপি গাছ বিপজ্জনক অবস্থায় হেলে থাকতে দেখা যায়। ওই গাছগুলির পড়ে যাওয়া ঠেকাতে আপাতত সেগুলির মাথার দিক থেকে ছাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। সৌম্যজিৎ বলেন, ‘‘কেষ্টপুর খালপাড়ের জঙ্গল জিলিপি গাছটির পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। বাড়ি উঠে যাওয়ায় পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পেয়েও কোনও কোনও গাছ হেলে গিয়েছে। সেই সব গাছকে সোজা করার কিছু উপায়ও পুরসভাকে বলেছি।’’
রহিমা বলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শে গাছের পরিচর্যার কাজ নিয়মিত করা হবে। রাস্তার ধারে আম-লিচুর মতো ফলের গাছ লাগালে প্রচুর পাখিও সল্টলেকে আসবে।’’ সৌম্যজিৎ জানান, ফলের গাছ জীববৈচিত্রের পক্ষে সহায়ক। আম-লিচুর মতো গাছ দৈর্ঘ্যে তুলনামূলক ভাবে ছোট বলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম।