Ultadanga Bridge

উল্টোডাঙা সেতুর ওজন কমাতে সরানো হবে তিনশো টন পিচ

প্রশাসন সূত্রের খবর, পরীক্ষার মরসুম শেষ হলেই ওই সেতুর ওজন কমানোর কাজ শুরু হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:০০
Share:

উদ্যোগ: শুরু হবে উল্টোডাঙা সেতুর ভার কমানোর কাজ। নিজস্ব চিত্র

মেরামতির প্রয়োজন, এমন সেতুর তালিকায় এ বার যুক্ত হল উল্টোডাঙা সেতু (দুর্গাপুর ব্রিজ)।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, পরীক্ষার মরসুম শেষ হলেই ওই সেতুর ওজন কমানোর কাজ শুরু হবে। ওই কাজের জন্য চার রাত ওই সেতুর এক দিকের অংশ বন্ধ রাখা হবে। সেই সময়ে সেতুর অন্য পাশ দিয়ে দু’দিকের গাড়ি যাতে চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখা হবে। যদিও দিনের বেলায় ওই অংশ গাড়ি চলাচলের জন্য খোলা রাখা হবে।

সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। তারাই ওই কাজ করবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ভার লাঘব করতে সেতুর পিচের আস্তরণ সরিয়ে ফেলা হবে। আনুমানিক তিনশো টন পিচের আস্তরণ সরানো হবে বলে খবর। ভিআইপি রোডের সংযোগকারী ওই সেতুর স্তম্ভগুলি খালের জলের তলায় রয়েছে। স্তম্ভগুলির কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা আগেই খতিয়ে দেখেছিলেন ইঞ্জিনিয়ারেরা।

Advertisement

কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানান, কাজ শুরুর দিন এখনও ঠিক হয়নি। তবে গত সপ্তাহে তাঁদের সঙ্গে বিধাননগর পুলিশ, কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ ওই সেতু পরিদর্শন করেছে। ভার কমাতে কী ধরনের কাজ হবে, সেতুর একটি অংশ দিয়ে যাতে গাড়ি চলতে পারে সেই ব্যবস্থা কী ভাবে রাখা যায়, সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

হাডকো মোড় ও ভিআইপি রোডকে জুড়েছে উল্টোডাঙা সেতু। পূর্ব শহরতলির সঙ্গে শহরের যোগাযোগেরও অন্যতম রাস্তা ওই সেতু। টালা সেতু বন্ধ হওয়ার পর থেকেই ওই সেতুতে গাড়ির চাপ বেড়েছে। বিদ্যাসাগর সেতু ছাড়া ওই সেতু দিয়েই পণ্যবাহী ভারী গাড়ি শহরে প্রবেশ করে।

লালবাজার জানিয়েছে, ওই সব বিষয় মাথায় রেখেই সেতুর মেরামতির কাজ করার জন্য কেএমডিএ-কে বলা হয়েছে। তবে কোনও ভাবেই পুরো সেতু বন্ধ করে কাজ হবে না। পরীক্ষার মরসুম শেষ হলে সেতুর কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পরীক্ষার মরসুমের পরেই আবার পুর ভোটের প্রচার শুরু হবে। তখন আবার কাজ করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

সার্কুলার খালের উপরে ওই সেতুটি তৈরি। মূলত খালের উপরের প্রায় ১০০ মিটার অংশ এবং ১৪ মিটার চওড়া অংশের পিচের আস্তরণ তোলা হবে। ওই ভার কমালে খালের উপরে সেতুটি নিরাপদ হবে বলেই মনে করছে কেএমডিএ। তবে ওই সেতুর অবস্থা এখন ভাল বলেই দাবি করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement