KMC

Municipal Schools: ইংরেজির ভিত পোক্ত করতে পাইলট প্রকল্প চালু পুর স্কুলে

কলকাতা পুরসভার শিক্ষা দফতর ২০০টিরও বেশি স্কুল পরিচালনা করে। সেখানেই পঠনপাঠনের মানোন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা।

Advertisement

অনির্বাণ দাশগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২২ ০৭:২৪
Share:

ফাইল চিত্র।

শুধু ইংরেজিতে নির্ভুল লেখাই নয়। ইংরেজি ভাষায় কথা বলাতেও পড়ুয়াদের হতে হবে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ। তাই স্কুলের পরে অতিরিক্ত ইংরেজি ক্লাস নেওয়া এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের বৈঠক— এই দুই পদক্ষেপকে হাতিয়ার করে পুরসভার স্কুলগুলির পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। এতে এক দিকে তারা ইংরেজি ভাষায় আরও সাবলীল হতে পারবে। পাশাপাশি, অভিভাবকেরাও সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে পারবেন।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, পুরসভার স্কুলগুলির পড়ুয়াদের ইংরেজিতে লেখা ও কথা বলায় আরও দক্ষ করতে চালু হয়েছে একটি পাইলট প্রজেক্ট। এ ছাড়া বাধ্যতামূলক ভাবে স্কুলগুলিতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর শিক্ষক-অভিভাবকদের বৈঠকও হবে। তাঁর দাবি, এতে আখেরে লাভ হবে পড়ুয়াদেরই।

কলকাতা পুরসভার শিক্ষা দফতর ২০০টিরও বেশি স্কুল পরিচালনা করে। সেখানেই পঠনপাঠনের মানোন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, আগামী দিনে ওই সব স্কুলে ইংরেজি শিক্ষার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভা পরিচালিত ৭০টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের মধ্যে ৯টিকে বেছে নেওয়া হয়েছে ওই প্রকল্পের জন্য। একটি সর্বভারতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে চুক্তিও করেছে পুরসভা। স্থির হয়েছে, ওই ৯টি স্কুলের পড়ুয়াদের ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবেন ওই সংগঠনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুলের সময়ের পরে আরও এক-দেড় ঘণ্টা পড়ুয়াদের অতিরিক্ত ইংরেজি ক্লাস নেবেন তাঁরা।

Advertisement

৬, ২০, ৫৮, ৬২, ৬৮, ৭৪, ৭৬, ৮১ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি করে স্কুলে এই পাইলট প্রজেক্ট চালু হয়েছে চলতি মাস থেকে। চলবে দু’বছর। সন্দীপন বলছেন, ‘‘সকলের জন্য সেরা মানের শিক্ষার বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করছি। পুরসভা পরিচালিত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা যাতে ইংরেজিতে দক্ষ হয়ে ওঠে, সে কথা মাথায় রেখেই এই পাইলট প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্প সফল হলে আগামী দিনে সব স্কুলেই তার বাস্তবায়ন হবে।’’ আপাতত প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি শেখাবে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। শিশুদের ইংরেজি শিক্ষার ভিত যাতে পোক্ত হয়, সে দিকেই বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কেও। সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলির আদলে শুরু হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মায়ের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক।

গত ৬ জুলাই খিদিরপুরে ৭৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি স্কুলে উপস্থিত থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করেন মেয়র পারিষদ। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, জুলাই, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে পড়ুয়াদের রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হবে। সেই সময়ে মা-বাবাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পুরসভার শিক্ষা দফতরের পরিদর্শকেরাও তখন সেখানে উপস্থিত থেকে ওই বৈঠকের বিবরণ তৈরি করবেন। তা জমা পড়বে শিক্ষা বিভাগে। ওই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে যদি কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হলে তা-ও ভবিষ্যতে করা হবে। ফলে পড়ুয়ার প্রতি শিক্ষক এবং অভিভাবকদের দায়িত্ব বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। সন্দীপনের কথায়, ‘‘এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে পডুয়াদের সম্পর্কে তথ্যের আদানপ্রদান হবে। এতে পারস্পরিক দায়িত্ব বাড়বে। তাঁদের সন্তানেরা কোথায় পড়ছে, সে ব্যাপারে অভিভাবকেরা আরও ওয়াকিবহাল হবেন। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের জন্য এই বৈঠক আখেরে লাভজনক হবে বলে আশা করি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement