ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি আর্থিক বছরে পুরসভার স্থায়ী কর্মীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দাখিল করতে হবে। বোর্ড মিটিংয়ে এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন শান্তা সরকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অধীনেই নকশা অনুমোদন, মিউটেশন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর ছিল। শান্তাদেবী অপসারিত হওয়ার পরে ওই সব দফতর এখন পুর চেয়ারম্যান পল্লব দাসের অধীনে রয়েছে।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে নকশা অনুমোদন থেকে ট্রেড লাইসেন্স, সবেতেই ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেই জন পরিষেবার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে উদ্যোগী হন পুর কর্তৃপক্ষ। তারই প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ভাইস চেয়ারপার্সনকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে পুরসভার অন্দরের খবর। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে নানা পদক্ষেপ করাও শুরু হয়। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় অফিস সহ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ছ’টি অফিস আছে। গড়িয়া, মহামায়াতলা, সোনারপুর, রাজপুর ও বোড়াল অফিসে রয়েছেন মোট ৮৫ জন স্থায়ী কর্মী। পল্লববাবু বলেন, ‘‘৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ওই অফিসারদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই তা দাখিল করতে হবে। আগেও এই নিয়ম ছিল। কিন্তু মানা হচ্ছিল না। ওই কর্মীদের দাখিল করা হিসেব পাওয়ার পরে তা রাজ্য সরকারকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’
সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে পুরসভায় নকশা অনুমোদন-সহ বিভিন্ন কাজে ‘কাটমানি’-র খেলা হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে অভিযোগ পৌঁছেছে। সে ক্ষেত্রে পুরসভার অন্দরেই ‘ঘুঘুর বাসা’ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেই কারণে শুধুমাত্র স্থায়ী কর্মী নয়, পুরসভার সব কর্মীদের উপরেই নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর। পরবর্তী পর্যায়ে ধাপে ধাপে এই নজরদারি চালানো হবে। পরিষেবার ক্ষেত্রেও কয়েকটি পদক্ষেপ করা হবে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।