Dohar

নস্টালজিক নিউ মার্কেটে দোহারের লাইভ পারফরম্যান্স প্রথম বার

প্রথম বার একটা গোটা বাজারকে ঘিরে ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির মেলবন্ধন। সিটি অব জয়ের প্রাণকেন্দ্রকে ঘিরেই তাই প্রতি মাসে একটা অনুষ্ঠানের ভাবনা কারপে ডিয়েমের সমর্পিতা ও সোমনাথের।

Advertisement

রোশনি কুহু চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৮ ২১:৪৭
Share:

দোহারের শিল্পীরা।

হগ সাহেবের কেমন লাগত মেঠো সুর?

Advertisement

জানা নেই। কলকাতা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম কর্তা কি লোকসঙ্গীত শুনতেন? স্যর স্টুয়ার্ট হগ যদি লোকগানের দল দোহার কিংবা মীরের ব্যান্ডেজের পারফরম্যান্স দেখতেন? কেমন লাগত বলুন তো?

এ সবের উত্তর মিলবে কি না জানা নেই। তবে, ১৪৪ বছরের পুরনো বাজারটা কিন্তু ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হগ সাহেবের বাজার অর্থাৎ নিউ মার্কেট। ১৮৭৪ সালে বাণিজ্য সংক্রান্ত কারণে ব্রিটিশরা যে ভবন তৈরি করেন, তা যেন মিশে আছে কলকাতার সংস্কৃতিতে। আর তাই এই পুরনো বাজারকে ঘিরেই এ বার গান কিংবা ছবি আঁকা— লাইভ পারফরম্যান্স।

Advertisement

প্রথম বার একটা গোটা বাজারকে ঘিরে ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির মেলবন্ধন। সিটি অব জয়ের প্রাণকেন্দ্রকে ঘিরেই তাই প্রতি মাসে একটা অনুষ্ঠানের ভাবনা কারপে ডিয়েমের সমর্পিতা ও সোমনাথের। কলকাতার অন্যতম প্রধান এই বাজার এ বার হতে চলেছে খানিকটা সুরেলা। চলবে গান, চলবে আঁকা। দেশবিদেশের শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করবেন এখানে, ভাবনা এমনটাই। প্রতি মাসে এক বার সুরের তালে কেনাকাটা করার সুযোগ মিলবেই কলকাতাবাসীর।

দোহার-এর গানে মাতলেন শ্রোতারা। দেখুন ভিডিয়ো:

নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার যেমন নিউপোর্ট ব্লুজের সুরে মাতোয়ারা হয়, তেমনই নিউ মার্কেট চত্বর জুড়ে শুক্রবারের সন্ধ্যা আলোকিত দোহারের ‘বন্দনা গান’ আর ‘টাক ডুম টাক দুম বাজাই’য়ের সুরে। মনের খেয়ালে বাংলাদেশের শিল্পী সাহানা মজুমদার তুলি ধরেছেন। নিউ মার্কেট আর ধর্মতলা চত্বরে নরম আলোর বিকেলটাকে ধরে রাখতে। এই বাজারে যেমন আগুন লেগেছে, তেমনই আবারও জেগে উঠেছে কালের সাক্ষী লাল ভবনটা। ‘‘অসংখ্য মানুষের জীবিকা নির্বাহ যে বাজারকে ঘিরে, সেখানে এসে ছবি আঁকা, একদম অন্য রকম লাগছে,’’—বললেন সাহানা।

এই ধরনের অনুষ্ঠানে গান গাইতে পারে দারুণ লাগছে, জানান দোহারের সদস্যরা। এক সদস্য সুদীপ্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘একেবারে অন্য রকম ভাল লাগা জড়িয়ে। এ রকম লাইভ পারফরম্যান্সের একটা আনন্দ রয়েছে।’’ রিচার্ড বায়ানের তৈরি এই গথিক আর রোমান স্থাপত্য মেশানো আলো ঝলমলে বাজারে ‘মিলন হবে কতদিনে’ না গাইলে কি চলে!

তুলি ধরলেন শিল্পী সাহানা মজুমদার। দেখুন ভিডিয়ো:

আরও পড়ুন: মুভি রিভিউ: সঞ্জুকে ছাপিয়ে গেলেন রণবীর

নিউ মার্কেটে রুপোর দোকান থেকে পছন্দের গয়না কিনে ফিরছিলেন গড়িয়ার মিতালি দত্ত। বললেন, ‘‘আলপিন টু এলিফ্যান্ট তো এখান থেকেই কিনি। এখন প্রতি মাসে যদি এ রকম দোকানের পসরা বসে, এ রকম গানের অনুষ্ঠান চলে, বাড়ির সবাই মিলে শপিং করতে এসে একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হবে।’’

নিউ মার্কেটে চার পুরুষের কাপড়ের ব্যবসা আজিজ ভাইয়ের। সুন্দরী কমলার তালে মাথা দুলিয়ে জানালেন, এ রকম প্রতি মাসে হলে বাড়ি থেকে এক দিন নিজের কাজের জায়গা দেখাতে আনবেন ছোটদের, স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই শুনতে চান গান।

আরও পড়ুন: বর্ষার জুতো কিনছেন? রইল মূল্যবান কিছু টিপস

নস্টালজিক নিউ মার্কেটে পসরা জমুক সুরে তালে, তুলির টানে, ক্রেতা বিক্রেতার আদানপ্রদানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement