প্রতীকী ছবি।
সল্টলেক বনবিতানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রাতর্ভ্রমণকারীদের থেকে টিকিট নিতে চাইছে রাজ্য বনোন্নয়ন নিগম। সংস্থার তরফে সল্টলেকের বনবিতানে নোটিস ঝোলানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে প্রাতর্ভ্রমণকারীরা রবিবার বনবিতানে সই সংগ্রহ করেন। তাঁরা জানান, টিকিটের বিরুদ্ধে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ বনোন্নয়ন নিগমের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে চিঠি দেবেন।
বনবিতানের গেটে ঝোলানো নোটিসে বলা হয়েছে, অগস্ট থেকে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের জন্য প্রতিদিন ১০ টাকার টিকিট বরাদ্দ করা হবে। এক মাসের টিকিটের দাম ৩০০ টাকা, ছ’মাসের টিকিটের দাম ১৬০০ টাকা এবং এক বছরের টিকিটের দাম ৩০০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বনবিতানে অনেক বছর ধরে প্রাতর্ভ্রমণ করতে যান অনেকে। সল্টলেকের বাইরে থেকেও লোকজন প্রাতর্ভ্রমণ ও শারীরচর্চা করতে যান। বিনামূল্যেই তাঁরা বনবিতানে প্রবেশ করেন। আচমকা বনোন্নয়ন নিগমের এমন সিদ্ধান্তে তাঁরা তাই হতবাক। এ দিন সকালে প্রাতর্ভ্রমণকারীরা বনবিতানের উত্তর গেটে জমায়েত করেন। বিকাশেন্দু বিশ্বাস নামে এক প্রাতর্ভ্রমণকারী জানান, দু’-তিন দিন আগে তাঁরা ওই নোটিসটি দেখে বিস্মিত হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘‘১৯৯০ সাল থেকে বনবিতানে সকালে আসি। কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এখানে আসেন। যাঁদের মধ্যে বরিষ্ঠ নাগরিকও রয়েছেন। এখানে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের জন্য টিকিট লাগে না। এটা সরকারের ওয়েলফেয়ারের মধ্যে পড়ে। এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ছি।’’ আজ, সোমবারও প্রাতর্ভ্রমণকারীরা টিকিটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করবেন বলে তিনি জানান।
এ দিকে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, প্রাতর্ভ্রমণকারীদের জন্য টিকিট চালুর সিদ্ধান্ত তাঁর অজানতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বনবিতান রক্ষণাবেক্ষণে প্রচুর খরচ। হয়তো তাই টিকিটের কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু তার আগে তো সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিষয়টি জানি না। খোঁজ নেব।’’