—প্রতীকী চিত্র।
ভোল্টেজ ওঠানামা করছে মাঝেমধ্যেই। যার জেরে আলো, পাখা, ফ্রিজ থেকে শুরু করে অধিকাংশ বৈদ্যুতিক সামগ্রীই ব্যবহার করা যাচ্ছিল না। চালানো যায়নি পাম্প-ও। ফলে, দেখা দিয়েছিল জলের অভাব। শেষমেশ পানীয় জল কিনে খেতে হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৬০ নম্বর প্রফুল্ল নগরের বাসিন্দাদের কয়েক দিন ধরে এমনই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অবশেষে শনিবার ওই এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও ওই ওয়ার্ডের আরও কিছু জায়গায় এমন সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁদের আরও অভিযোগ, বার বার সমস্যার কথা জানানো হলেও তা পুরোপুরি মেটেনি।
ওই ওয়ার্ডের ৬০, প্রফুল্ল নগরের ঠিকানায় বসবাস করে একাধিক পরিবার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোল্টেজের ওঠানামার জেরে বৈদ্যুতিক কোনও সামগ্রী ব্যবহার করা যাচ্ছিল না। কেউ কেউ তার মধ্যেই বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার করতে গেলে সেগুলি পুড়ে যায় বলেও দাবি বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, সিইএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও প্রাথমিক ভাবে তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি। পরে বাসিন্দারা কালিন্দীতে সিইএসসি-র স্থানীয় অফিসে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এর পরে সংস্থার তরফে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়।
বাসিন্দারা জানান, ওই ঠিকানায় চার দশকের পুরনো বিদ্যুতের তার রয়েছে। সেই তার মেরামতির পরে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। যদিও এলাকার বাসিন্দা সদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও আশঙ্কা কাটেনি। কারণ, পুরনো কেব্ল রেখেই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তাই সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই পারে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি আবাসনের বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, সেখানেও এই সমস্যা চলছে অনেক দিন ধরে। আবাসন কমিটির সম্পাদক অরুণ ঘোষ জানান, স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি ও প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধিকে জানানো হয়েছে। ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি অমিত পোদ্দার জানান, ভোল্টেজের সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধানে সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। দু’টি জায়গায় ট্রান্সফর্মার বসানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। বর্তমান পুরপ্রতিনিধি অস্মি পোদ্দার জানান, সিইএসসি ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ করলেও তা পুরোপুরি শেষ হয়নি।
সমস্যার বিষয়ে সিইএসসি-র জেনারেল ম্যানেজার অরিজিৎ বসুর বক্তব্য, দমদমের এই সমস্যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অনুমোদন ছাড়াই অনেকে এসি লাগাচ্ছেন। ফলে অতিরিক্ত লোডের কারণে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট হচ্ছে, ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কলকাতা ও সংলগ্ন কিছু এলাকা থেকে এই ধরনের অভিযোগ আসছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।