ক্যামেরায় চোখ: নন্দনে চলছে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। সোমবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী
বিকেল পাঁচটায় নিউ এম্পায়ারে পছন্দসই জার্মান ছবিটি যে দেখা যাবে না, তা আগেই জানা গিয়েছিল টিকিট বুক করার অ্যাপ মারফত। নবীনায় সন্ধের দু’টি শোয়েও শেষ মুহূর্তে পরিবর্তনের ধাক্কা। শেষ তক নবীনাতেই রবিবার রাত ন’টায় চলচ্চিত্র উৎসবে পছন্দের সিনেমার টিকিট কেটেছিলেন জনৈক কর্পোরেট চাকুরে তরুণী।
সেই সুখও কপালে সইল না তাঁর! সোমবার অনিন্দিতা সিংহ নামে বেহালার বাসিন্দা সেই তরুণীর কথায়, ‘‘নানা বদলের পরে পোলিশ ছবি ‘কোল্ড ওয়ার’ দেখানো হবে শুনে ঢুকেছিলাম। কিন্তু দেখি স্ক্রিনে সাব-টাইটেলটাই পড়া যাচ্ছে না।’’ চিৎকার, চেঁচামেচি সত্ত্বেও হলে কেউই বিষয়টি নিয়ে দৃকপাত করেননি বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি জানান, মিনিট ৪৫ পরে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। অনিন্দিতার আক্ষেপ, ‘‘ছুটির দিনে চলচ্চিত্র উৎসবে ছবি দেখতে মুখিয়ে ছিলাম। কিন্তু ভাষাই না বুঝলে, কী দেখব!’’
কেন এই বিভ্রাট, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব বিবেক কুমার। তিনি জানান, বিভিন্ন ছবি দেখানোর সরঞ্জামের আলাদা মাপ থাকে। চলচ্চিত্র উৎসবে ছবি দেখানোর জন্য বিশেষ টেকনিক্যাল কমিটি রয়েছে। কমিটি সব ছবি চালিয়ে দেখে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের ছাড়পত্র দেয়। কোন ছবি কী ফরম্যাটে রয়েছে, তা দেখে নেওয়া হয় বলে জানান উৎসব কর্তৃপক্ষও। বিবেক বলেন, ‘‘কিছু ছবি শেষ মুহূর্তে হাতে এসে পৌঁছচ্ছে। তার ফলে, সেগুলি দেখানোয় কিছু সমস্যা হতে পারে।’’ বিষয়টি মাথায় রেখেই শেষ মুহূর্তে নির্ঘণ্ট বদলাতে পারে কথাটা উল্লেখ করা হয় কার্ডে। তবে দর্শকদের জন্য এমন অভিজ্ঞতা বিরক্তিকর তা অস্বীকার করছেন না আয়োজকেরা। রবিবার রবীন্দ্র সদনে সত্যজিতের ‘অপু ট্রিলজি’ দেখানোর সময়েও ঘণ্টাখানেক দেরি হয়েছিল।