পথ-কুকুরদের বাঁচাতে পথে এলাকা

দিন কয়েক আগে পাটুলি থানার পুলিশ পাঁচটি কুকুরের দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ থানায় অভিযোগ করেছিলেন, কেউ বিষ মেশানো খাবার খাইয়ে কুকুরগুলিকে মেরে ফেলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৭ ০১:১৮
Share:

সমব্যথী: মিছিলে এলাকাবাসীরা। রবিবার। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

কখনও অভিযোগ উঠেছে বিষ মেশানো খাবার দিয়ে মেরে ফেলার। কখনও মুখবন্ধ বস্তা থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। তাই ওদের বাঁচাতে পথে নেমেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

রাস্তার কুকুরদের বাঁচাতে মিছিল হল রবিবার বিকেলে, পাটুলির ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের নেতৃত্বে এবং দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় গাঙ্গুলিবাগান মোড় থেকে
মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে পাটুলি থানার মোড়ে হয় একটি পথসভা। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকা যে কত জরুরি, সেটাই স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনে বারবার তুলে ধরার চেষ্টা করেন আয়োজকেরা। মিছিলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি ছিলেন পশুপ্রেমী এবং বিধায়ক দেবশ্রী রায়, গায়ক সুরজিৎ-সহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ।

দিন কয়েক আগে পাটুলি থানার পুলিশ পাঁচটি কুকুরের দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ থানায় অভিযোগ করেছিলেন, কেউ বিষ মেশানো খাবার খাইয়ে কুকুরগুলিকে মেরে ফেলেছে। তারই কিছু দিন আগে পাশের এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল বস্তাবন্দি একাধিক কুকুরের দেহ। কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্যবাবু জানান, এলাকায় সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতেই তাঁদের এই মিছিল। মিছিলে অংশগ্রহণকারী স্থানীয় বাসিন্দা সুস্মিতা সরকার বলেন, ‘‘বাঁচার অধিকার সব প্রাণীর রয়েছে। অকারণে কেন কুকুরকে মেরে ফেলবে! প্রতিবাদ জানাতেই মিছিলে সামিল হয়েছি।’’

Advertisement

তবে এলাকার বাসিন্দাদেরই অন্য একটি অংশ মনে করছেন, বাস্তুতন্ত্রের কথা মাথায় রেখে কুকুরের জন্য মিছিল এবং জনসভা করে পরিবেশ আরও দূষিত হল। তাঁদের অভিযোগ, গোটা এলাকায় মাইক বেঁধে সকাল থেকে প্রচার চলছে। পাটুলি থানা মোড়ে মাইকের সঙ্গে রাখা হয়েছে পেল্লায় সাউন্ড বক্স। এক বাসিন্দা বললেন, ‘‘কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার উপক্রম। সকাল থেকে দফায় দফায় ঘোষণা চলছে। আর দিনভর গান বাজছে।’’

যদিও এ সব অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ মিছিলের আয়োজকেরা। তাঁদের দাবি, বাসিন্দারা তাঁদের সঙ্গে আছেন। এলাকার মানুষদের অনুমতি নিয়েই সব আয়োজন হয়েছে। বিরোধীরা সমালোচনা করার জন্য এ সব অভিযোগ তুলছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement