বাঁধভাঙা: লকডাউন চলছে, বোঝার উপায় নেই এই দৃশ্য দেখে। মঙ্গলবার, বাগুইআটিতে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হতেই মদের দোকান থেকে অফিসকাছারি— বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কাজকর্ম শুরু করার ছাড়পত্র দিয়েছে প্রশাসন। আর সেই ছাড়পত্র দিতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে শহর জুড়ে লকডাউন-বিধি কার্যত শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ।
এ দিন রাস্তায় গাড়ির সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। সোমবারের পরে এ দিনও মদের দোকানের সামনে লাইন দিতে দেখা গিয়েছে অনেককে। যা নজর এড়ায়নি লালবাজারের কর্তাদের। পুলিশ সূত্রের খবর, শহরের সুরাপায়ীরা যাতে নিয়ম মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব-বিধি রক্ষা করে মদের দোকানের সামনে লাইন দেন, তা দেখতে ফের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। থানার ওসিদের কাছে পাঠানো বার্তায় এ দিন তিনি জানিয়েছেন, লকডাউন চলছে। তাই লকডাউন-বিধি কার্যকর করার জন্য যা যা প্রয়োজন, তা করতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে বিনা কারণে ঘুরে না বেড়ান বা জমায়েত না করেন, তা দেখতে বলেছেন তিনি।
এ দিন শহরের বেশির ভাগ জায়গাতেই দোকান খুলেছিল। পরে পুলিশ কড়াকড়ি শুরু করতেই বন্ধ হয়ে যায় বহু দোকান। লালবাজারের নির্দেশ, পাড়ায় একক ভাবে রয়েছে, এমন দোকান খোলা যাবে। দোকানের সামনে পাঁচ জনের বেশি ক্রেতার জমায়েত নিষিদ্ধ হলেও মদের দোকানের ক্ষেত্রে তা কতটা পালন করা সম্ভব, তা নিয়ে চিন্তিত নিচুতলার পুলিশকর্মীরা। এ দিন শহর জুড়েই মদের দোকানের ভিড় সরাতে চেষ্টা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মদ কিনতে বাইরে থেকে ভিড় বিধাননগরে
পুলিশ সূত্রের খবর, যান চলাচলে নজর রাখতে এবং প্রয়োজনে তল্লাশি চালাতে বলা হয়েছে।
কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলিতে এ দিন পুলিশের ঢিলেঢালা মনোভাব দেখা গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ। ওই সব এলাকায় লোকজনের ঢোকা এবং বেরোনোর ক্ষেত্রে পুলিশকে ফের কঠোর হতে বলেছেন কমিশনার।
আরও পড়ুন: ৪২ দিনে খাবারের বিল ছাড়াল চার লক্ষ
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)