আসলে এ শহরে ঐতিহ্য নিয়ে উৎসব রয়েছে, তবে তাসংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের খামতি রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। ফাইল ছবি।
ঐতিহ্যের মর্যাদা রয়েছে। অথচ সেই বাড়ির ভগ্নদশা। আবার অনেক ঐতিহ্য মর্যাদাপ্রাপ্ত বাড়িতে শরিকি ঝামেলার কারণে সংস্কার নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এই জটিলতা মেটাতে রাজ্যের বর্তমান ঐতিহ্য-ধারায় (ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজকমিশন অ্যাক্ট, ২০০১) পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। শেষ বার বছর তিনেক আগে প্রস্তাবিতধারায় পরিবর্তন-সহ খসড়াও প্রস্তুত করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার আরও একটি ‘বিশ্ব ঐতিহ্যদিবস’ (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ডে) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের তরফে এই উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজনকরা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ঐতিহ্য সংরক্ষণে জটিলতাগুলি মোটেই কাটেনি বলে মনে করছেন অনেকে। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সদস্য, ঐতিহ্য নির্মাণশৈলী বিশারদ পার্থরঞ্জন দাস এ বিষয়ে জানাচ্ছেন, শহরের পুরনো, ঐতিহ্যময় বাড়ি সংরক্ষণের জন্য বর্তমান ধারায় পরিবর্তন প্রয়োজন। তার চেষ্টাও করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘বছর তিনেক আগেপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন-সহ খসড়া প্রস্তুত করতে আইআইটি এবং আইআইইএসটি-র সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। তাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু বিষয় সংযোজনও করেছিলাম। তা বিধানসভায় পাশের জন্যও গিয়েছিল। কিন্তু এখনও তা আইন হয়ে আসেনি।’’
আসলে এ শহরে ঐতিহ্য নিয়ে উৎসব রয়েছে, তবে তাসংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের খামতি রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।