চোখ পরীক্ষার জন্য মাকে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিলেন ছেলে। সেখানে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই মৃত্যু হয় মায়ের। শনিবার বারাসত থানায় ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মৃতদেহের ময়না-তদন্তের পরে ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বারাসতের ডাকবাংলো মোড়ের কাছে ওই নার্সিংহোমে মা রেহেনা বিবিকে (৪৭) নিয়ে যান সফিউল ইসলাম। তাঁদের বাড়ি আমডাঙা থানার দরিয়াপুরে। থানায় অভিযোগে সফিউল জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের চোখে সমস্যা হচ্ছিল। তাই কয়েকটি পরীক্ষা করাতে বলেছিলেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার বিকেলে সুস্থ মাকে নিয়ে নার্সিংহোমে যান তিনি। সেখানে পরীক্ষার আগে রেহেনার হাতে চ্যানেল করে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গেই রেহেনার শরীর কাঁপতে থাকে। অভিযোগ, এর পরেই চোখ উল্টে এলিয়ে পড়েন তিনি।
সফিউলের অভিযোগ, এর পরেও তাঁর মাকে দেখতে কোনও চিকিৎসক আসেননি। তিনি বলেন, ‘‘বাধ্য হয়ে মাকে অন্য নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি অ্যাম্বুল্যান্স দিতে বলি। ওরা বলে চালক নেই।’’ অভিযোগ, অন্য এক রোগীর আত্মীয় জানান, তিনি গাড়ি চালাতে পারেন। চাবি পেলে তিনিই রেহেনাকে নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু চাবি দেওয়া হয়নি।
এর পরে রাস্তা থেকেই গাড়ি জোগাড় করে নিয়ে আসেন অন্য রোগীর পরিজনেরা। অন্য নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় রেহেনাকে। কিন্তু তার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। সফিউলের অভিযোগ, নার্সিংহোমের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর মায়ের। ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নার্সিংহোম-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সবটাই পরিষ্কার হবে।