প্রতীকী ছবি।
হাওড়া, শিয়ালদহ, চিড়িয়াখানা, সায়েন্সসিটি, বাবুঘাট... কনডাক্টরের মুখ থেকে এমন একাধিক জায়গার নাম ধরে হাঁকডাক অনেকদিন পর শুনল কলকাতা। লকডাউনের কারণে বাস-মিনিবাসের চাকা থমকে গিয়েছিল। ফের চেনা ছবি ধরা পড়ল কলকাতায়। গত কয়েক দিন ধরে বাসের জন্য হাপিত্যেস করতে হয়েছে যাত্রীদের। দুর্ভোগের শেষ ছিল না। বৃহস্পতিবার রাস্তায় বাস-মিনিবাস নামতে কষ্ট লাঘব হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো যাত্রীদের উপর অতিরিক্ত ভাড়া চাপিয়েছে বাসমালিকদের একাংশ। ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা নেই। সংগঠনের অনুমতি দেয়নি। তাতে কি? থোড়াই কেয়ার!
ভাড়া বেশি নেবই— এমন মনোভাব নিয়েই এ দিন হাওড়া-কলকাতায় ছুটল বাস-মিনিবাস। কেন বেশি ভাড়া? তারও যুক্তি রয়েছে কনডাক্টরদের মুখে। তাঁদের দাবি, যাত্রী খুব একটা হচ্ছে না। যত আসন, তত যাত্রী নিয়ে যদি বাস চালাতে হয় একটু তো বেশি ভাড়া দিতেই হব। কিন্তু কত বেশি? যাত্রীরা জানাচ্ছেন, বাসে পা দিলেই ১০ টাকা দিতে হচ্ছে। আগে ছিল ৭ টাকা। আগের ১১ টাকার রাস্তা এখন যেতে হচ্ছে ২০ টাকায়। বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিয়ে বাস চড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গণপিটুনি, যুবকের মৃত্যু নিউটাউনে, ধৃত ৫
এই পরিস্থিতিতে বেশি ভাড়া দিতে গিয়ে বিরক্ত যাত্রীরা। লকডাউনে কাজকর্মের বেহাল দশা। তার উপরে ভাড়া বেশি যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। যাত্রীদের অভিযোগ, রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও) নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা দেখতে চাওয়া হলে, কনডাক্টররা কিছুই শুনতে চাইছেন না। অনেকে বলছেন, ‘‘মালিক বলেছে, তাই বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।’’ যেমন খুশি ভাড়া নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ দফতরের এক কর্তা।